ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুজার গিফারী ইফাত বলেছেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর নামে শিবিরকে ক্রেডিট নিতে দেওয়া হবে না।’
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুহসীন হলের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুজার গিফারী বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি, ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হলের জিএস স্বীকার করেছে শিবির করে। সাধারণ প্রার্থীদের শিবির বলে চালিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা, সারা দেশে তাদের যে ক্রেডিট নেওয়ার অপচেষ্টা এটা কোনোভাবেই হবে না।’
তিনি বলেন, ‘শিবির মুহসীন হলে ১৩টি পোস্টের মধ্যে একটি পোস্টে জয়ী হয়েছে। বাকি ১২টি পোস্টে স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আগামী এক বছরে আমরা কোনোভাবে শিবির হতে দেব না। তাদের পরিচয় লুকানোর যে রাজনীতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটি কখনো মেনে নেবে না।’
এ সময় মহসীন হল ছাত্রদল সদস্য সচিব মনসুর রাফি বলেন, ‘হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল। এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ধর্মপ্রাণ এবং নিয়মিত হল মসজিদে আজান শুনে নামাজ আদায় করে আসছেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমির হামজা নামক একজন বক্তা ও জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী দাবি করছেন ছাত্রশিবির ডাকসু জয়ের পূর্বে মুহসীন হলে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি দাবি। আমাদের আবাসিক হলের ব্যাপারে এমন জঘন্য মিথ্য বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে শ্রোতাদের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা এমন অসত্য, বানোয়াট ও মিথ্যায় পরিপূর্ণ ধর্মের মোড়কে রাজনৈতিক বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নোংরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা দেশবাসীকে ধর্মের নামে মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করা গোষ্ঠী থেকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। ইতোপূর্বে হলের একশ শিক্ষার্থীদের জন্য শিবির বেডের ব্যবস্থা করেছে, এমন ডাহা মিথ্যাচারও প্রচার করতে দেখেছি আমরা, যা কখনোই কাম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপরোক্ত নোংরা ও মিথ্যা বক্তব্যের জন্য আমির হামজাকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সেজন্য হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মিথ্যাচারের নিন্দা জ্ঞাপনপূর্বক আমির হামজাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন