বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের নভেম্বরে গণভোটের দাবি ‘অন্যকোনো মাস্টার প্ল্যান’ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণভোট নভেম্বরে করার পেছনে আপনাদের অন্যকোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কিনা? যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন। অনেক আলাপ আলোচনা, অনেক যুক্তি তর্ক, অনেক বাদানুবাদ, অনেক আর্গুমেন্টের পরে জুলাই সনদের জায়গায় সবাই একটা ঐকমত্যে এসেছেন। সেই ক্ষেত্রে একটা শর্ত দিয়ে এখানে একটা বিশৃঙ্খল তৈরি করা, জনমনে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করাটা কেন? এই প্রশ্ন তো আজ মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
যে কাজটি সহজ হবে, যে কাজটি সহজ সাধ্য হবে, যে কাজটি ভোটারদের দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে, সেই কাজটি করতে সবাই একমত হচ্ছেন, একই দিনে পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং গণভোট হয়ে যাবে একই ব্যালটে একই সময়ে ভোটাররা যখন ভোট দিতে যাবেন তখনই দেওয়া হবে। সময় বাঁচিয়ে এই কাজটা হচ্ছে। তা না করে আপনি নভেম্বরে করতে চাচ্ছেন কেন? রিজভী বলেন, গণভোট করলেও তো তার একটা প্রস্তুতি আছে। এখন অক্টোবর মাস আগামী মাস নভেম্বর। নভেম্বরে একটা গণভোট তৈরি করতে গেলে এর আয়োজনের যে প্রস্তুতি আছে যেমন সারা দেশের মানুষকে সচেতন করা ওটা তো এক মাসে সম্ভব নয়। আপনারা জবরদস্তি করে বলছেন, আগাম গণভোট দিতে হবে। কেন? মানুষ তো এই প্রশ্ন আপনাদের করছে যে কাজটা সহজে করা সম্ভব সেই কাজটাকে আপনারা টেনেহিঁচড়ে বিলম্বিত করানোর চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ মনে হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেই নির্বাচনটাকেই আপনারা প্রলম্বিত করতে চাচ্ছেন বা কোনোভাবে এটাকে বিলম্ব করতে চাচ্ছেন।
রিজভী বলেন, ওই রাজনৈতিক দল (জামায়াতে ইসলামী)-সহ কিছু রাজনৈতিক দল তারা বোধহয় কোনোভাবেই নির্বাচন চাচ্ছে না। কারণ এদের অতীত ইতিহাসে নির্বাচন-গণতন্ত্রের প্রশ্নে এদের কোনো কমিটমেন্টই নাই। এটা প্রমাণিত, একটি রাজনৈতিক দল বলেই যে আমরা শুধু বলছি এটা তা না।
মন্তব্য করুন