

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, বিএনপি একটি সুসংগঠিত ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক শক্তি। দলীয় সিদ্ধান্তই আমাদের সবার জন্য একমাত্র কার্যকর, বৈধ, চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক নির্দেশনা। ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য বা অবস্থান দলীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই মতভেদ ভুলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত এক মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সংশোধন এবং দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ধানের শীষের এই প্রার্থী।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমাকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে যে সম্মান দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সব নেতার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনীতিকের ছবি প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। আমি কী ছিলাম- তা নারায়ণগঞ্জের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের কর্মী, বিএনপিসহ সংশ্লিষ্টরা জানেন। আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন, তারা জানেন- আমার অবস্থান কোথায় ছিল? আমার নাম রাজনৈতিক মামলার এজাহারেও তোলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবার। এখানে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু সেটা হতে হবে সংগঠন ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে। আমি বিশ্বাস করি, যারা আজ সমালোচনা করছেন, তারাও দলের কল্যাণ চান। দিনশেষে আমরা সবাই ধানের শীষের লোক এবং দলের সিদ্ধান্তই আমাদের সবার জন্য চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক নির্দেশনা।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, আমরা চাই একটি নিরাপদ, আধুনিক ও শিক্ষাকেন্দ্রিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে- যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সমানভাবে এগিয়ে যাবে। তরুণদের উদ্যম ও প্রবীণদের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সম্ভাবনাময় নতুন নারায়ণগঞ্জ গড়াই আমাদের লক্ষ্য।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও আনোয়ার হোসেন আনু; মহানগর বিএনপির সদস্য হাজি ফারুক হোসেন, মাহাবুব উল্লাহ তপন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, মো. আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, ফারুক আহম্মদ রিপন ও অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজি নুরুদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাখাওয়াতুল ইসলাম রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আয়েশা আক্তার দিনাসহ সদর ও বন্দর শাখা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য করুন