

পুরাতন রাজনৈতিক দলগুলো গত ৫৩ বছরে দেশকে শুধু সংঘাত ও বিভেদের রাজনীতিই উপহার দিয়েছে। কে জাতির পিতা, কে স্বাধীনতার ঘোষক, কে ভারত, পাকিস্তান বা আমেরিকার দালাল এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে তারা জাতিকে বিভক্ত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই পুরোনো সংঘাতমুখী বিভেদের রাজনীতি আর দেখতে চায় না।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানার উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। এ সময় তিনি ঢাকা-৫ আসনের এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান আব্বাসীকে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি বিএনপি ও জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলেন, দুটি রাজনৈতিক দলের ভোট এবং কর্মী বেশি; এই অহংকারে তারা দেশকে জিম্মি করে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণই পারে নির্বাচনের মাধ্যমে এই দুই দলের অহংকার চূর্ণ করে দিতে। জনগণকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এসব দলের সংঘাতমুখী রাজনীতিকে আপনারা না বলুন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তনের রাজনীতি চায়। পুরাতন সংঘাতমুখী রাজনীতি জনগণ আর গ্রহণ করছে না। বিএনপি-জামায়াতসহ পুরোনো দলগুলো দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে, যার ফলেই নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। হাসিনার গুম-খুন ও আয়নাঘরের নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য আমরা সবাই মিলে লড়েছি— বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, ছাত্ররা সবাই। লড়েছি যেন এই অপকর্ম আর না ঘটে, যেন হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার না হয়। আমরা লড়েছি আগের থেকে ভালো বাংলাদেশের জন্য। আমরা চাই জনগণের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করছি, এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কেউ ফুটপাতে বসে বা ফুটপাতে কুকুরের সঙ্গে একসঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য হবে না। রাষ্ট্রের উপর জনগণের যে ন্যায্য দাবি রয়েছে তা বাস্তবায়ন করে জনগণের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
এবি পার্টির নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিনির্ভর রাজনীতি থেকেই স্বৈরাচার জন্ম নেয়। যখন ব্যক্তির পতন ঘটে, তখন পুরো দলের পতন হয়। কিন্তু এবি পার্টি কোনো ব্যক্তিনির্ভর দল নয়, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ক্ষমতায়নে। এবি পার্টি সমস্যা সমাধানভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে, যার মূল নীতি হচ্ছে জনগণের সমস্যার সমাধান করা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ, কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক আজিজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সহসম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক সুলতান আরিফসহ দলীয় নেতারা।
মন্তব্য করুন