সংবিধান থেকে সরকার এক চুলও সরবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আল্টিমেটাম দিয়ে লাভ নেই। আমাদের বার্তা হচ্ছে আমরা সংবিধান থেকে এক চুলও নড়ব না। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। দেশি-বিদেশিদের পরামর্শ নেওয়া হবে কিন্তু সংবিধানের বাইরে নির্বাচন নয়। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার সবকিছু আওয়ামী লীগ করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ পুরো পৃথিবীকে দেখিয়ে দেবে গণতন্ত্রের আদর্শই বাংলাদেশ।
বিএনপির মরা গাঙে জোয়ার নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর গেল। ১৫ বছরে তারা কমপক্ষে পনেরোশ বার্তা দিয়েছে। আন্দোলন করবে? মরা গাঙে জোয়ার নেই। মরা গাঙে জোয়ার আর আসে না। অথচ আমাদের শেষ বার্তা দিচ্ছে। কীসের বার্তা বুঝলাম না। আমাদের ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে, নাকি দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে। দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার ইতিহাস তারাই সৃষ্টি করেছে পঁচাত্তরে। আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, নাটোরের মমতাজকে তারা হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে আমরা মামলা দেইনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় তার দণ্ড হয়েছে। আজ সে দণ্ডিত আসামি। আইনের দৃষ্টিতে তাকে মুক্তি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই। প্রধানমন্ত্রীর দয়া, মহানুভবতা ও এক্সিকিউটিভ অর্ডারে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন। অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে জেলের কষ্ট থেকে রক্ষা করেছেন।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েকটা বছর চলে গেছে। বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। ফখরুল কথায় কথায় চোখের পানি ফেলে। খালেদা জিয়ার জন্য চোখে এত জল। খালেদা জিয়ার জন্য কোনোদিন একটা আন্দোলন কী করেছেন? আজকে তো টাকা-পয়সা দিয়ে ফখরুলের পকেট গরম। মাল পানির চালান ভালোই আসে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী এবং উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন