একদফা আন্দোলনে ‘মরণপণ’ লড়াইয়ের জন্য নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এই দাবি করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, এটা (আন্দোলন) ক্ষমতার লড়াই না, দেশটাকে বাঁচানোর লড়াই, বাংলাদেশটাকে মুক্তির লড়াই। মুক্তিযুদ্ধের পরে এটা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলছে। এটাকে মাথায় রেখে জনগণ আজকে রাস্তায় নেমেছে। এটার সফল সমাপ্তির জন্য যদি জীবনও দিতে হয়- আমি মনে করি, আমাদের নেতা-কর্মীরা সেই পথে এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, এই যে রোডমার্চ হয়ে গেলো, লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করেছে। লোকজন বলছে, স্যার প্রোগ্রাম দেন, আমরা জীবন দিতে রাজি আছি। এরপর তো আর কিছু বলার থাকে না। যারা জীবন দেয়, তাদের সাথে কেউ লড়াই করে কোনোদিন জিততে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের এই সংগ্রাম ৩৬ দলের ইস্যু নয়, এটা ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রামের ইস্যু। এটাকে মাথায় রেখে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে আবার পুনর্গঠন করার জন্য, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে এই ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আজকে যারা দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন করছে সবাইকে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব। কারণ, জাতি যে ক্রান্তি লগ্নে, জাতি যে গর্তের মধ্যে পড়েছে- এই জাতিকে যদি উদ্ধার করতে হয়, বিএনপি একা সরকার গঠন করে এর সমাধান দিতে পারবে না। এখানে জাতীয় ঐক্যের দরকার আছে। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে আগে দেশকে বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এজন্য আবারও ভোট চুরির প্রকল্প নিয়েছে। তবে এবার আর এটা হতে দেয়া হবে না। জনগণ এক হয়েছে, আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক বিশ্ব এক হয়েছে।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনই জাতীয় সংকট উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন