এ দেশের মানুষ কোনো ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন সহ্য করে না- এ কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে যদি কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি দুর্গাপূজায় হামলার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষদাঁত দেশের ধর্মপ্রাণ ও প্রগতিশীল জনতা উপড়ে ফেলবে।
আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর জুরাইনে নিজ নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর-কদমতলীর প্রতিটি মন্দিরে নগদ অর্থ সহায়তা, বস্ত্র বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাবলা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু। প্রাচীনকাল থেকেই এই দেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। তবে মাঝে মধ্যে একটি উগ্রাবাদী ধর্মান্ধ শক্তি হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যেহেতু মাত্র দুই মাস পর, তাই এবারও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পূজামণ্ডপে হামলার অপচেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি আমাদের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক কর্মী, সমাজের প্রগতিশীল জনতা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক নাশকতা প্রতিরোধে সজাগ রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো ধর্মীয় সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। কিন্তু ইসরায়েল নিরীহ ফিলিস্তিনের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সারা পৃথিবী যখন ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে একসাথে হয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছে সেই সময়ে ইসরায়েলের আগ্রাসন পৃথিবীর শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।
জাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুজন দে’র সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার, শ্যামপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নুরুন্নবী, শ্যামপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নাজমা আক্তার, সাথী আক্তার, ডি.কে সমির, স্বপন দাস, শৈলেশ দাস, ইদ্রজিত দাস, বিলাশ পোদ্দার, সুনীল টাইগার, নারায়ণ দাস, রাম দাস, নন্দন দাস প্রমুখ।
মন্তব্য করুন