নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র হত্যার দায়িত্ব নিয়েছেন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের তপশিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার আরেকটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারের পদত্যাগ ও অবৈধ তপশিল ঘোষণার প্রতিবাদে অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল শেষে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতারা আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর সরকারের পদত্যাগ ও তপশিল ঘোষণা বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধা রেখে দেশকে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
তারা বলেন, দেশের প্রতিটি কাঠামোর ওপর সরকারের আঘাত ও লুটপাটের চিহ্ন আওয়ামী লীগের নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। তবে সরকারকে বিদায় করতে না পারলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অরক্ষিত হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান্নান আহমেদ খান বাবলু, যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভূইয়া পিন্টু, আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামী ঐক্যজোট যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস রেজা, লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. হুমায়ুন কবির, যুগ্ম মহাসচিব শরীফুল ইসলাম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিতের মো. আদনান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন