বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উপদেষ্টা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে আজ শুক্রবার দুপুরে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। অথচ ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পেশাজীবী সমাবেশ ও মিছিল শেষে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে গাজীপুরের ধীরাশ্রম নামক স্থান থেকে র্যাবের একটি দল তাকে আটক করে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব এবং শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব ও শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পেশাজীবী নেতাদের এভাবে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, সরকার আবারও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতেই বিএনপি নেতাকর্মীসহ পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার করছে। কারণ অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বানিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, প্রশাসন অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের এমনকি শিক্ষক, প্রকৌশলী, ডাক্তার ও সাংবাদিকসহ পেশাজীবী নেতাকর্মীদের ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সাধারণ মানুষকে গুম, খুন, মামলা, হামলা গ্রেপ্তার নির্যাতনসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় পেশাজীবী নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর এই মহান কাজের মাধ্যমে যারা জাতি গঠন করে সেই পেশার মানুষদেরকে আজ ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। সে কারণেই শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেনকে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে। পেশাজীবীদের সব ধরনের হয়রানি বন্ধ এবং অবিলম্বে ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেনসহ গ্রেপ্তারকৃত সব পেশাজীবী নেতাদের মুক্তির দাবি করেন ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা।
মন্তব্য করুন