বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফলশ্রুতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেছেন, জনগণ সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির দায় নেবে না।
ময়মনসিংহ নগরীর বাতির কল মোড়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপি ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর হরিকিশোর রায় রোডে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনের উদ্দেশে রওয়ানা দিলে বাতির কল মোড়ে পুলিশ মিছিলকারীদের গতিরোধ করে।
বাগবিতণ্ডতার একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন—উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম। এ ছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
অবস্থান কর্মসূচিতে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তার আজ্ঞাবহদের রেন্টাল-কুইক রেন্টালে দিয়ে কুইক লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কোটি কোটি টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সরকার আইন করে এদের দায়মুক্তিও দিয়েছে। এসব কারণে দেশে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। অথচ বিশ্ববাজারে কয়লা, গ্যাসসহ জ্বালানি তেলের দাম কমলেও টাকার অভাবে কয়লা, এলএনজি গ্যাস, ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে পারছে না সরকার। যার ফলে পায়রাসহ অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। প্রচণ্ড দাবদাহে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে জনজীবন নাকাল।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যতই দায়মুক্তি দিক না কেন, জনগণের অর্থ লুটপাটের জন্য একদিন সবার বিচার হবে।
গ্রাম-শহর সর্বত্র নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধের দাবি জানান এই বিএনপি নেতা। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সবাইকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, অচিরেই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসছে। পরে নেতারা হেঁটে বিদ্যুৎ ভবনে যান এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে উত্তর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কমিটির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন পৃথক দুটি স্মারকলিপি দেন। ওই সময় অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন