মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারস্থ কর্ণপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুমের আল-ইলম ছাত্র কাফেলার উদ্যোগে বার্ষিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কর্ণপাড়া জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
তিনি বলেন, কোরআনের শিক্ষা যেহেতু সর্বোত্তম শিক্ষা তাই সরকারের কাছে আমাদের সবার দাবি, জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম তথা; স্কুল-কলেজ, ভার্সিটিসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থায় কোরআনের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা যেন করা হয় এবং শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে আমরা জোরদার দাবি জানাচ্ছি।
হেফাজতের মহাসচিব আরও বলেন, যদি কোরআনি শিক্ষা ব্যবস্থা এভাবে জাতির মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া না যায় তাহলে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নামবে। স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পরও জাতি আবার সেই পরাধীনতার শিকলে আটকে যাবে। তাই সরকারের উচিত ১৬ ডিসেম্বরের এই বিজয়কে কোরআনের শিক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘায়িত করা।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, হক্বানী উলামা-মাশায়েখ সর্বদাই স্বাধীনচেতা ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে রয়েছেন। যুগে যুগে দেশ ও জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে হক্কানী উলামায়ে কেরাম আজীবন সংগ্রাম করেছেন। অত্যন্ত নিঃস্বার্থভাবে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণের নিমিত্তে নিজেদের মূল্যবান সময় ও জীবন উৎসর্গিত করেছেন। ১৮৩১ সালের বালাকোটের যুদ্ধ, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের রেশমী রুমাল আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনসহ ১৯৪৭ সালের ইংরেজ খেদাও আন্দোলন এরই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও হক্কানী উলামায়ে কেরামের অবদান কোনোক্রমেই শূন্য ছিল না।
মুফতি আহসান মাহবুবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আশরাফ মাসরূর, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতি আলী আকরাম, মুফতি সুহাইল আহমাদ, মুফতি আব্দুর রহমান, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতি উবাইদুল্লাহ, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা ইসমাঈল, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, মাওলানা আমজাদ হুসাইন, মাওলানা সালাহউদ্দীন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন