সরকারপন্থি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল ওদের (সরকার) ‘পাঁতানো’ নির্বাচনে নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি করে বলেন, খেলা চলছে, নির্বাচনী খেলা। আমার কাছে অবাক লাগে যে, এই শীতের দিনে মিছি মিছি এসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে ভোটের জন্য; কি করবে তারা? আরে ভোট হবে কার কার মধ্যে? সরকারপন্থি ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন অংশ নিচ্ছে? একটাও না। হয় সরকারি দল না হয় তাদের ১৪ দলীয় জোট, না হয় মহাজোট, আর না হয় তাদের তৈরি করা কয়েকটা রাজনৈতিক দল।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এসব না করে খুবই ভালো হতো যদি চারজন প্রার্থী থাকত চারটা নৌকা, একটাতে সই আছে... সবই তো নৌকা। হয়ে যাবে। আসলে কারা কারা জিতবে নির্বাচনে... এটা তো আগামীকালই (সোমবার) জানা যাবে, জানা যাবে কোন সিটে কে? এই মিছে মিছি এই গরিব দেশে যেখানে না খেয়ে থাকে, যেখানে কর্মহীনের সংখ্যা এত, যেখানে ভূমিহীনের সংখ্যা এত, যেখানে মানুষ কষ্ট করছে সেখানে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কেনো মিছি মিছি খরচ করছেন?
বিএনপি এ রকম খেলায় যায় না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই যে খেলা, একজন মন্ত্রী নাকি বিএনপিকে বলেছেন, আপনারা যোগ দেন আর আমরা জেলখানা থেকে সবাইকে ছেড়ে দেই। আরে ভাই, এটা বললে হবে? বিএনপি এই খেলায় কখনো অংশ নেয় না। আমরা কখনো দাবিও করি নাই, আপনারা পদত্যাগ করেন আমরা ক্ষমতায় বসব; নো। আমরা বলেছি, আপনারা পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সবাই অংশগ্রহণ করুক জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি আগামী দিনে আমরা একই কথা বলব। আপসের কোনো জায়গা নেই গণতন্ত্র ও দেশ শাসনের প্রশ্নে। জনগণ যেটা সমর্থন করবে সেটা আমরা করব। সেই গণতন্ত্র না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় পেশাজীবী নেতা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আবদুল হাই শিকদার, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক লুতফর রহমান, ড. শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, মো. শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন