গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ এবং বিরোধী সব মতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা নির্বাচনের প্রায় দাঁড়প্রান্তে। এখন প্রহসনের ক্ষণটা কেবল মঞ্চস্ত করা বাকি। যে নির্বাচনকে জনগণ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে সরকার। দেশ নিয়ে এসব খেলা জনগণকে রুখে দিতে হবে। ভাগ-বাটোয়ারার এই একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদে নিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজার পেট্রোবাংলার সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। এরপরে ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহ্বানে মঞ্চের নেতারা কাটাবন মোড় পর্যন্ত মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এবং রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রীতম দাশ।
নেতারা বলেন, সারাদেশ তুষের আগুনে পুড়ছে। চারদিকে বারুদের স্ফূলিঙ্গ, যে কোনো সময় ফেটে পড়বে। আমাদের পুলিশ বাধা দিয়েছে, হামলা করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাদের মাটিতে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা আবার উঠে দাঁড়িয়েছি।
নেতারা জানান, ভোট ডাকাতির পাঁচ বছর এবং একতরফা ডামি নির্বাচনের প্রতিবাদে ৩০ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও গণমিছিল এবং নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড প্রদর্শন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন