ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের পক্ষে ভোট চাইতে না যাওয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পে কর্মরত এক নারী শ্রমিকের কাজ ও ভাতা বাতিলের এবং সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ছাড়া করার হুমকি প্রদানের একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, আব্দুল হাইয়ের অনুসারী ধলাহরচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামিম হোসেন মোল্লা ও হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যেসব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়র লোকজন ভোট করছেন তাদের অব্যাহতভাবে হুমকী প্রদান করে আসছে। তাদের নৌকায় ভোট না দিলে ঘরবাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অপর দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের পক্ষে ভোট চাইতে না যাওয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পে কর্মরত এক নারী শ্রমিকের কাজ ও ভাতা বাতিলের হুমকি দিয়েছেন হাইয়ের অনুসারী আকলিমা খাতুন নামের এক নারী ইউপি সদস্য। ভুক্তভোগী ওই নারী পারুল খাতুন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামের বাসিন্দা পারুল খাতুন জানান, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের আওতাধীন ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আমাকে সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুন বলেন- তোমাকে আমার সঙ্গে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে যেতে হবে। আমি অস্বীকার করলে তখন উনি আমাকে বলেন, তুমি যদি নৌকার ভোট চাইতে না যাও তোমার চাকরি থাকবে না ও বেতন-ভাতা পাবা না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে এবং শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ দাখিল করে থাকেন সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের পক্ষে প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে শৈলকুপা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। বগুড়া ইউনিয়নের দোহানাগিরাট গ্রামের ইউনুস আলী নামে এক সমর্থক এ জিডি করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারে শৈলকুপা উপজেলার শিতালী বাজারে ট্রাক মার্কার পোস্টার সাঁটাতে গেয়ে দেখি আগের দিনের কোনো পোস্টার ও ব্যানার নেই। স্থানীয় এক চায়ের দোকানির কাছে জিজ্ঞাসা করলে নায়েব আলী শেখ ও সেমন্ত হোসেন নামের দুজন পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়েছেন বলে জানান। এই দুই ব্যক্তি ট্রাক মার্কার নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছেন।
মন্তব্য করুন