বাক ও ব্যক্তির স্বাধীনতা এবং বিপন্ন মানবাধিকার, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, মানবাধিকার নেই, চলাচলের স্বাধীনতা নেই। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিংয়ে স্বাধীনতা নেই। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মিছিল সমাবেশ করার রাজনৈতিক অধিকার আছে। কাউকে সভা-সমাবেশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুর রবের সভাপতিত্বে এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন—ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আতিয়ার রহমান, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহিল কাফি, নাগরিক ফোরামের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন।
প্রধান অতিথি বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দিতে সরকার টালবাহানা করছে। জামায়াতেরও মিছিল-সমাবেশের অধিকার আছে এবং তাদের এটা দিতে হবে। তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মানুষের কল্যাণে এত এত রাইটস করলাম কিন্তু আজ মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মানুষের মৌলিক অধিকার আছে কিন্তু জনগণ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবাধিকার কথাটাই হচ্ছে খারাপ। আল্লাহ মানুষকে তার খলিফা হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষের কাজ হলো মানুষের প্রকৃত অধিকার রক্ষা করা। এটা পালন করতে পারলে মানবাধিকার নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না। কিন্তু কেউ তা মানছে না।
মন্তব্য করুন