বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতের সাথে দিনে দিনে বাড়ছে দূরত্ব। এমন গুঞ্জন চলছে রাজনীতির মাঠে। বিভিন্ন কারণে জামায়াতের সাথে হিসেব করে পা ফেলে আসছিল বিএনপি। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে মূলত জামায়াতের সাথে দূরত্ব বাড়ে বিএনপির। যুদ্ধাপরাধের দায়ে শীর্ষ জামায়াত নেতাদের যখন ফাঁসি দেওয়া হচ্ছিল। রাজপথে প্রতিবাদ তো দূরে থাক, আন্দোলনের সহযাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে কোনো বিবৃতিও দেয়নি বিএনপি। জামায়াতের বিপদের দিনে বিএনপি মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় সম্পর্কের অবনতির শুরু।
তারপর থেকেই দুই দলের মধ্যে চলছে মান অভিমানের পালা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একই দাবিতে সরকারের বিপক্ষে আন্দোলন করলেও, অদৃশ্য কারণে একমঞ্চে দেখা যায়নি তাদের। নির্বাচনের আগে বেশকিছু ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করলেও কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকায় জামায়াতকে নিয়ে একমঞ্চে আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। সবশেষ ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপি যখন মার খেয়ে রাজপথ ছেড়ে যায়, তখন আরামবাগে আরামে সমাবেশ করলেও এগিয়ে আসেনি জামায়াত।
তবে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক মনে করেন, জামায়াতের সাথে কোনো দূরত্ব নেই বিএনপির, কৌশলগত কারণেই আলাদা মঞ্চে আন্দোলন করে আসছে তারা। তিনি মনে করেন, ’৭১ এর পর যাদের জন্ম, তারা খাঁটি বাংলাদেশি, তারা তো দেশের বিরুদ্ধে কিছু করছে না। তাদের চাপে রেখে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
তবে জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের নেতা ড. আব্দুল মঈন খানের অভিমানি বক্তব্যে বোঝা যায়, দুই দলে চলছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। তার দাবি, আওয়ামী লীগের সাথে রয়েছে জামায়াতের সখ্য। বিএনপি জামায়াতের দূরত্ব বাড়ল কিনা আওয়ামী লীগ ভালো বলতে পারবে বলেও জানান তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটি জামায়াতের ছিল, তা হাইজ্যাক করে অতীতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে বলেও দাবি করেন মঈন খান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হাঁকডাক থাকলেও নির্বাচনের পর ঘর গোছাতে ব্যস্ত দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি।
মন্তব্য করুন