বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ যদি সঠিকপথেই চলত তাহলে ব্যাংকে ডাকাতি হলো কেন?
তিনি বলেন, আসলে সরকার শুধু দেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করেনি তারা দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। তাই ব্যাংক ডাকাতিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দেশ চালনায় সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে শান্তিনগরের বাসায় যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
এ সময় সোহেলের বড় মেয়ে বাবাকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। ন্যায়বিচার চান। বলেন, ঈদ আসছে কিন্তু আমাদের মনে কোনো ঈদ নেই।
পরে আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার যদি বিএনপির ওপর জুলুম না করে থাকে তাহলে গত ১৫ বছরে বিরোধীদলের প্রায় অর্ধকোটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখের ওপর মামলা দিল কেন?
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ রাজধানীর পল্টন থানার দুই ও নিউমার্কেট থানার এক মামলায় সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেদিন ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম ও মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত তিন মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিউমার্কেট থানায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়। গত বছরে এ মামলায় তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোহেলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় দুই বছর করে চার বছর ও নিউমার্কেট থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই তিন মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে একটি ও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি মামলা করা হয়। ২০২৩ সালে এ দুই মামলায় তাকে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
মন্তব্য করুন