কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বনানী করবস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন হায়দার আকবর খান রনো

প্রখ্যাত মার্কসবাদী চিন্তাবিদ হায়দার আকবার খান রনো। ছবি : সংগৃহীত
প্রখ্যাত মার্কসবাদী চিন্তাবিদ হায়দার আকবার খান রনো। ছবি : সংগৃহীত

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা শেষে বনানী করবস্থানে চীরনিদ্রায় শায়িত হবেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত মার্কসবাদী চিন্তাবিদ প্রয়াত হায়দার আকবার খান রনো।

সোমবার (১৩) সকাল ১০টায় তার মরদেহ পুরানা পল্টনস্থ সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে রাখা হবে। সেখানে পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক র‌্যালি করে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সাড়ে ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান শেষে সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হবে।

এরপর দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা শেষে বিকেলে বনানী কবরস্থানে বাবা ও মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করার কথা রয়েছ। সিপিবির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার সারা দেশে সিপিবি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শোক দিবস পালন করা হবে।

সোমবার বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও ’৯০ এর ছাত্র-গণআন্দোলনের আপসহীন নেতা প্রয়াত হায়দার আকবর খান রনোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা শফী আহমেদ। বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ রনোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর ও খেলাঘর ঢাকা মহানগরী কমিটি। গত শুক্রবার (১০ মে) রাত ২টায় ৮১ বছর বয়সী বরেণ্য এই রাজনীতিক রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা রনো ছিলেন সিপিবি উপদেষ্টা। মাঝখানে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি তদানীন্তন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৬৯ সালেই তিনি এই দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে পরিগণিত হন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। ২০১০ সালে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টি পরিত্যাগ করে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। তখন থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। পরে তাকে পার্টির উপদেষ্টা করা হয়।

১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে রনো ছিলেন অন্যতম নেতা। তিনিই প্রথম সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছিলেন (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২)। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন পূর্ব বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক।

কমরেড রনো ছিলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের সৈনিক। ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

একদিনের সফরে কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১০

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১১

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১২

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৩

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৪

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

১৫

উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

১৬

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১ জন

১৭

ডাকসু নির্বাচন / ডাকসু ভোটারদের মির্যা গালিবের ৩ পরামর্শ

১৮

বাংলাদেশি সন্দেহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধর

১৯

মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করলে কি কবরে আজাব হয়?

২০
X