গান, আবত্তি ও সশ্রদ্ধ স্মৃতিচারণ ভাষা সংগ্রামী, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর কণ্ঠযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি কামাল লোহানীর পঞ্চম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে উদীচী।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শিবানী ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্ব স্মরণসভার শুরুতেই কামাল লোহানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ। এরপর তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কামাল লোহানীর দুই সন্তান সাগর লোহানী ও বন্যা লোহানী।
এরপর ‘তোমার অসীম প্রাণমন লয় যতদূর আমি ধাঁই’ এবং ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গান দুটি সম্মলকভাবে পরিবেশন করে সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা।
এরপর শুরু হয় আলোচনা ও স্মৃতিচারণ পর্ব। এ পর্বের শুরুতে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সাগর লোহানী ও বন্যা লোহানী, শংকর সাওজাল, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি হাবিবুল আলম, প্রবীর সরদার, জামসেদ আনা ও আনোয়ার তপন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলন, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ অনবদ্য অবদান রাখা ছাড়াও স্বাধীন বাংলাদেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন কামাল লোহানী। উদীচীর সভাপতি হিসেবে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া, গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন শুরুর পর নেপথ্যে থেকে প্রতিদিন অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন কামাল লোহানী।
বন্যা লোহানী বলেন, সারাজীবন আদর্শের প্রতি অবিচল থেকেছেন কামাল লোহানী। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন কম নিলেও যতদিন সুস্থ ছিলেন, ততদিনই সক্রিয় ছিলেন তিনি। অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করেননি তিনি।
এ ছাড়াও, ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করেন বন্যা লোহানী।
স্মরণসভায় একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন হাবিবুল আলম ও সুস্মিতা কীর্ত্তনিয়া। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী বাচিক শিল্পী শিখা সেন গুপ্তা ও আতিকুজ্জামান মির্জা।
মন্তব্য করুন