কোরবানির প্রস্তুতির সময় শরিয়াহর কিছু নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি, যাতে এই ইবাদতের পূর্ণতা ও তাৎপর্য বজায় থাকে। অনেকে এ সময় চুল ও নখ কাটা নিষিদ্ধ বা হারাম মনে করেন, তবে ইসলামি স্কলারদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ নয়; বরং সুন্নত হিসেবে পরিগণিত।
ইসলামি আইন ও ফিকাহশাস্ত্রবিদরা জানান, যারা ঈদুল আজহায় কোরবানি দিতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশনায় জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন চুল ও নখ না কাটা উত্তম। সহিহ মুসলিম শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘তোমাদের কেউ যদি কোরবানি দেয়ার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন জিলহজ মাস শুরু হওয়ার পর চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’
এ বিষয়ে মতভেদ থাকলেও, অধিকাংশ আলেম একে একটি সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। ইমাম মালিক (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.) ও ইমাম শাফি (রহ.)-এর মতে, জিলহজের প্রথম ১০ দিনে চুল ও নখ না কাটা গুরুত্বপূর্ণ ও অনুসরণীয় আমল। অন্যদিকে হানাফি মাজহাব অনুসারে, এটি ‘সুন্নতে মুয়াক্কাদা’, অর্থাৎ এটি পালন করা উত্তম, তবে অপরিহার্য নয়।
জিলহজের প্রথম ১০ দিনের করণীয়:
বেশি বেশি নেক আমল করা। রোজা রাখা । তাসবিহ, তাহলিল, তাহমিদ বলা। কোরবানির প্রস্তুতি নেওয়া।
বর্জনীয়:
কোরবানি দেওয়ার নিয়ত থাকলে চুল ও নখ না কাটা। অহেতুক সময় নষ্ট করা ও গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা। কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর চুল ও নখ কাটা সম্পূর্ণ বৈধ এবং তা স্বাভাবিক নিয়মেই পালন করা যাবে।
অনেকে বলেন, এ সময়ের চুল ও নখও আল্লাহর জন্য কোরবানি করা পশুর অঙ্গের মতো নেক আমলের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
মন্তব্য করুন