মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের অনেকটাই পরিমাপ করা হয় সুন্দর চুল দিয়ে। এ জন্য শখের বশে বড় চুল রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে। তবে বয়সের সঙ্গে মলিন হতে থাকে চুলের সৌন্দর্য। সাদা আবরণে পাকতে থাকে চুল। আর চুল-দাড়ি পাকা নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। এর কারণ উদ্ঘাটন ও প্রতিকার নিয়ে লেখালেখিও কম হচ্ছে না। তবে, চুল-দাড়ি পাকা নিয়ে ইসলাম বলছে ভিন্ন কথা। হাদিসের দিকনির্দেশনায় পাকা চুল ও দাড়ি ওঠাতে নিষেধ করেছেন নবীজি (সা.)।
ইসলামে কেন পাকা চুল ও দাড়ি ওঠানো নিষেধ?
ইসলামে পাকা চুল-দাড়িকে মানুষের জন্য রহমত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসে রাসুল (সা.) পাকা চুল ওঠাতে নিষেধ করেছেন।
আমর বিন্ শুআইব (রাহিমাহুল্লাহ্) তার পিতা এবং তার পিতা তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা শরীরের সাদা চুলগুলো উঠিয়ে ফেলো না। কারণ, কোনো মুসলমানের চুল তার ইসলামী জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই পেকে সাদা হয়ে গেলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য আলো হিসেবে উদ্ভাসিত হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার প্রতিটি চুলের বিপরীতে আল্লাহ্ তায়ালা তাকে একটি করে সাওয়াব এবং তার গোনাহসমূহ থেকে একটি করে গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।
চুল-দাড়ি সাদা হয়ে গেলে কী করবেন?
তবে চুল বা দাড়ি সাদা হয়ে গেলে তাতে কালো রং ছাড়া প্রাকৃতিক কোনো রং ব্যবহার করা যায়। বরং তা করাই শ্রেয়। কারণ, তাতে করে ইহুদি ও খ্রিষ্টানের সঙ্গে এক ধরনের অমিল সৃষ্টি হয়, যা শরিয়তের একান্ত কাম্য।
জাবির বিন্ আব্দুল্লাহ্ (রা.) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আবু ক্বুহাফাকে রাসুল (সা.)-এর সামনে উপস্থিত করা হলো। তার দাড়ি ও মাথার চুলগুলো ছিল সাগামা উদ্ভিদের ন্যায় সাদা। তা দেখে রাসুল (সা.) সাহাবাদের বললেন, এর চুল-দাড়িগুলোকে কোনো কিছু দিয়ে রঙ্গীন করে নাও। তবে কালো রঙ লাগাবে না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ইহুদি-খ্রিষ্টানরা চুল-দাড়ি কালার করে না। অতএব তোমরা তাদের উল্টোটা তথা দাড়ি-চুলগুলোকে কালার করবে।
সূত্র- আবু দাউদ : ৪২০২, মুসলিম : ২১০২, ২১০৩
মন্তব্য করুন