ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাত্র ৩ বার কবুল না বললে কি বিয়ে শুদ্ধ হয়?

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বিয়ে মানুষকে শালীন, পবিত্র ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনের পথে নিয়ে যায়। মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই বিয়ের বিধান চলে আসছে। ইসলামে বিয়েকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় একটি ইবাদত হিসেবে বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে এবং বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তার জন্য দেরি না করে বিয়ে করা ইমানি দায়িত্ব।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ের সামর্থ্য আছে, তার বিয়ে করা উচিত। কেননা বিয়ে চোখকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা যৌবনের খায়েশ কমিয়ে দেয়।’ (বোখারি : ৫০৬৫, মুসলিম : ১৪০০)

এই হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিয়ে করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ, দিন বা মাস ঠিক করে দেওয়া হয়নি; বরং সামর্থ্য হলে দেরি না করে বিয়ে করে নেওয়াই উত্তম।

অবশ্য বর্তমান সময়ে বিয়ের জন্য ভালো পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা একটি জটিল কাজ। তাই বিয়ের আগে পাত্রী দেখে নেওয়া, ভালোভাবে খোঁজ নেওয়া নবীজির (সা.) সুন্নত। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন সম্ভব হলে তার এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যেন দেখে নেয়, যা তাকে বিয়েতে আগ্রহী করে তোলে।’

বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা অন্তরে গোপন রেখেছিলাম। এরপর আমি গোপনে তার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখি, যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী করে তুলল। এরপর আমি তাকে বিয়ে করি।’ (আবু দাউদ : ২০৮২)

অন্য হাদিসে এসেছে, মুগিরা বিন শোবা (রা.) বলেন, ‘আমি এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। এটা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ?’ আমি বললাম, ‘না, দেখিনি।’ তখন তিনি বললেন, ‘তাকে দেখে নাও।’ তোমার এই দর্শন তোমাদের দাম্পত্য জীবনে প্রণয়-ভালোবাসা গভীর হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’ (তিরমিজি : ১০৮৭)

পাত্রী দেখার পর যখন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা গ্রহণ করা হয়, তখন অনেক এলাকায় এ রসম দেখা যায়, ‘বিয়ের প্রস্তাব পেশ করার পর পাত্রকে তিনবার কবুল বলতে হবে।’ তারা মনে করেন, তিনবার কবুল না বললে বিয়ে সহিহ হবে না।’ তাই প্রশ্ন জাগে, এটা সত্য কি না। ইসলামি শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি আছে কি না।

এ প্রসঙ্গে দেশের জনপ্রিয় ইসলামি গবেষণা পত্রিকা মাসিক আল কাউসারে বলা হয়েছে, এটি একটি মনগড়া রসম মাত্র। এটি পরিহার করা জরুরি। এজাতীয় মনগড়া বিষয়ের কারণে অনেক সময় বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ইজাবের (প্রস্তাবের) পর সাক্ষীদের শুনিয়ে একবার কবুল বললেই বিবাহ হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৩/৯, ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ১/৩৭০)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুয়েতে বৃষ্টির জন্য নামাজের ঘোষণা

বাজারের ৬০ শতাংশ ফোন অবৈধ, জানুন আপনার ফোনের অবস্থা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে বৃহস্পতিবার

রঙ মেশানো ১২ টন মুগডাল জব্দ, অতঃপর...

সালাউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে বিসিবি

আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ভেনিসে সিএসএনের উদ্যোগে ইতালিয়ান ভাষা পরীক্ষা সম্পন্ন

খুরশীদ আলমকে হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অপসারণ

পেশায় ভালো করছেন কওমি মাদ্রাসাপড়ুয়া সাংবাদিকরা

প্রার্থীকে গুলি, জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপি নেতার

১০

প্রতারণা মামলায় তানজিন তিশা

১১

কমিউনিটি ব্যাংক ও হলিডে ইন ঢাকার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

১২

মর্যাদাপূর্ণ কিউএস র‍্যাঙ্কিং এশিয়া ২০২৬-এ স্থান করে নিয়েছে বিইউবিটি

১৩

সৌদিতে সংগীত চর্চায় নেওয়া হলো বড় পদক্ষেপ

১৪

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থীর সর্বশেষ অবস্থা

১৫

ঘাড় ঘোরালেই কটকট আওয়াজ? জেনে নিন কীসের ইঙ্গিত

১৬

সীমান্তে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, বিজিবির প্রতিবাদ

১৭

এলাকা পরিবর্তন নিয়ে ভোটারদের বিশেষ সুযোগ দিল ইসি

১৮

ঢাকায় আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নবায়নের সময় নির্ধারণ

১৯

সুদান নিয়ে ভয়ংকর পরিকল্পনা, বলির পাঁঠা সাধারণ মানুষ

২০
X