ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া পড়ে ইফতার শুরু করতেন বিশ্বনবি। হজরত মুয়াজ ইবনে যুহরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন-
আরবিঃ
أللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلى رِزْقِكَ أفْطَرْتُ.
উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।’
অর্থঃ
হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
আরবিঃ
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ উচ্চারণঃ
‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থঃ
‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াব ও স্থির হলো’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
এছাড়া ইফতার সামনে নিয়ে তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফার আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দনীয়। ইফতারের সময় আল্লাহ বান্দার সব চাওয়াগুলোই পূরণ করে দেন।
আরবিঃ اَسْتَغْفِرُ اللهَ الْعَظِيْم – اَلَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ اَلْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْم
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
আরবিঃ اَلْحَمْدُ للهِ اَللّهُمَّ إنِّيْ أسْئَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْئٍ أنْ تَغْفِرَلِيْ.
উচ্চারণঃ
অর্থঃ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য; হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে তোমার সর্ববেষ্টিত রহমতের উছিলায় প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)
কিছু করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে রোজাদারের ইফতারের সময় যা পালন করা অনেক সাওয়াব ও কল্যাণের কাজ।
এগারো মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও বরকতপূর্ণ হল পবিত্র রমজান মাস। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘রমজান মাসই হলো সেই মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত।’ সূরা বাকারা: ১৮৫
আল্লাহর নির্দেশ পালনে রমজানে দিনভর উপবাস করে মানুষ। সন্ধ্যা হলেই আল্লাহর নির্দেশ পালনে সুন্নত তরিকায় ইফতার করে রোজাদার।
ইফতার করার পরও বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন বিশ্বনবী। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার শেষ করতেন তখন বলতেন-
কারও ঘরে মেহমান হয়ে ইফতার করলেও আছে বিশেষ দোয়া-
আকালা ত্বাআমাকুমুল আবরারু, ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাতু, ওয়া আফত্বারা ইংদাকুমুস সায়িমুন (আবু দাউদ) আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম উম্মাহকে ইফতারের আগে ও পরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ লক্ষ্য করার পাশাপাশি রমজানকে গোনাহ মাফের উত্তম পন্থা হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য করুন