কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বদনজর, জাদুটোনা থেকে শরীর বন্ধ করার দোয়া

বদনজর, জাদুটোনা থেকে শরীর বন্ধ করার দোয়া
বদনজর, জাদুটোনা থেকে শরীর বন্ধ করার দোয়া | ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

জীবনে চলার পথে অনেক দৃষ্টি পড়ে। এখানে খারাপ ভালো উভয়ই রয়েছে। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকালে ক্ষতি হয়। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই।

কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে এসব বদ নজর থেকে চাইলে দূরে থাকা যায়। রাসুল সা. এর থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। শরীর বন্ধ করতে যে দোয়া পড়বেন-

হজরত আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. একবার কোনো এক রোগে আক্রান্ত হলেন। তখন জিবরাইল আ. নবীজি সা.-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জিবরাইল আ. তখন এ দোয়াটি পড়লেন, بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ.

উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি আরকিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইউজিকা মিন শাররি কুললি নাফসিন আউ আইনিন হাসিদিন, আল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরকিকা’।

অর্থ: আল্লাহর নামে আপনাকে ফুঁ দিচ্ছি; যেসব জিনিস আপনাকে কষ্ট দেয়, সেসব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ফুঁ দিচ্ছি।’ (মুসলিম ৫৫১২)। সুতরাং দোয়াটি পড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ, ধীরে ধীরে বদ নজর কেটে যাবে। بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’

অর্থ: ‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে, সকাল হওয়া পর্যন্ত তার ওপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)

এ ছাড়াও সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার আক্রান্ত ব্যক্তিকে পড়ে ফুঁ দেওয়া। হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সুরা ফালাক ও নাস অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ভাষায়) জিন ও বদ নজর থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।

পরে যখন সুরা দুটি অবতীর্ণ হলো, তখন ওই সুরা দুটি দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতে লাগলেন এবং অন্যান্য সব পরিহার করলেন।’ (তিরমিজি ২০৫৮)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আবারও ভারত-পাকিস্তানের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে জালিম আর ফিরবে না : জামায়াত আমির

পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে, হুঁশিয়ার করলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আশুলিয়া ভূমি অফিসে স্বচ্ছ সেবায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এসিল্যান্ড সাদিয়া আক্তার

অসময়ে পানি বৃদ্ধি, যমুনার গর্ভে ১০ বসতভিটা

দুপুর ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের কবর জিয়ারতে জামায়াতের আমির

গাজীপুরে দুই সাংবাদিকের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ

১০

ভারতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

১১

শিথিল ‘শাটডাউন’ / আজ খুলছে পলিটেকনিকের তালা

১২

শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজান গ্রেপ্তার

১৩

লাহোরের ওয়ালটন রোডে একাধিক বিস্ফোরণ 

১৪

রাষ্ট্র গঠনে তরুণদের জায়গা করে দিতে হবে : সেলিমা রহমান

১৫

ভোগান্তির আরেক নাম ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি

১৬

যুদ্ধ থামান, আমি সাহায্য করব : ট্রাম্প

১৭

পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতীয় সেনা নিহত

১৮

সাতসকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

১৯

‘পেহেলগামকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছেন মোদি’

২০
X