কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধানমন্ডি ৩২ বেসমেন্টে পাওয়া স্কুল ড্রেসে ঘটনার নতুন মোড়

গুঁড়িয়ে দেওয়া ধানমন্ডি ৩২ ও ইনসেটে পাওয়া স্কুল ড্রেস। ছবি : সংগৃহীত
গুঁড়িয়ে দেওয়া ধানমন্ডি ৩২ ও ইনসেটে পাওয়া স্কুল ড্রেস। ছবি : সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ এর ‘বেসমেন্টে কুড়িয়ে পাওয়া স্কুল ড্রেস’ নিয়ে ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ সৈকত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে শেয়ার করেছেন। সেখানে ২০১৮ সালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিসে ৪ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সেসময়ে আল জাজিরার একটি সাক্ষাৎকারে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কথা বলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে আসিফ সৈকত নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সাদিকুর রহমান খান নামে একজনের ফেসবুক ওয়াল দেওয়া পোস্ট শেয়ার করেন।

সেই পোস্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিসে চারজন মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল বলে খোদ শহীদুল আলম আল জাজিরাকে বলেছিলেন। এই ইন্টারভিউ দেওয়ার পর শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে মারধর করে তাকে রক্তাক্তও করা হয়েছিল।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, খটকা তখনই লেগেছিল। নিউজটা যদি মিথ্যাই হতো, আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়েই কাজ শেষ করতো। শহিদুল আলমের মতো এত বড় মাপের একজন মানুষের প্রতি এতটা কঠোর হওয়ার কথা ছিল না।

ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, শহীদুল আলমকে ধরার পরেই এই বিষয়ে টুঁ শব্দ করার সাহস আর কারও হয়নি। তদন্ত তো দূরের কথা। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেমে গিয়েছিল। কিন্তু এই ধর্ষণের কোনো তদন্ত বা কোনো ফলোআপ আর আসেনি। যাইহোক, ধানমন্ডি ৩২-এর নিচে যে বেজমেন্ট পাওয়া গেছে, সেখানে মেয়েদের স্কুল ড্রেস আর জুতা পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো, খুব সম্ভবত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে না, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এই পাশবিকতা চালানো হয়েছিল।

পোস্টে বলা হয়, ৬ মাস পর মানুষের এই ধানমন্ডি ৩২ ভেঙে দেওয়া হয়তো আল্লাহরই কোনো পরিকল্পনা ছিল। হয়তো নাম না জানা ওই মজলুম মেয়েগুলোর দোয়া আল্লাহতাআলা শুনেছেন। যত দ্রুত সম্ভব এই স্কুল ড্রেসগুলোর ফরেনসিক করা হোক। নাম পরিচয় বের করে এই মেয়েগুলোর পরিবারকেও যেন শহীদ পরিবার হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ যেন শেখ পরিবারের মতো এমন ভয়ংকর অভিশাপ এই পৃথিবীর কোনো দেশেই আর কোনোদিন না দেন। নিরাপদ সড়ক চাওয়ার দাবি করতে গিয়ে পৃথিবীর আর কোনো মেয়েকে যেন এই পরিণতি ভোগ করতে না হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভাতিজার লাথিতে প্রাণ গেল চাচার

বহিষ্কৃত ৭৪ নেতাকে ‍নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

কর্মবিরতির ঘোষণা শিক্ষকদের / প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা

মা ও দুই শিশুর মরদেহ পৃথক স্থানে দাফন, মামলা হয়নি এখনো

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে : সেলিমা রহমান

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্ব ও এক পদ বাতিল করল ঢাবি

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার

দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে অটোর ধাক্কা, স্কুলশিক্ষক নিহত

১০

প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা 

১১

ইসলামেই আসবে সত্যিকারের মুক্তি : চরমোনাই পীর

১২

হাসিনার লকারে শুধু পাটের ব্যাগ, যৌথ লকারে সোনার নৌকা-গয়না

১৩

রাজশাহীতে আর কোনো পুকুর ভরাট হবে না : বিভাগীয় কমিশনার

১৪

বিপিএলে নোয়াখালীর প্রধান কোচ হচ্ছেন সুজন

১৫

ব্যালটে যেমন দেখা যাবে এনসিপির শাপলা কলি প্রতীক

১৬

বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৫ উদযাপন

১৭

এনসিপি জোটের ঘোষণা আসতে পারে আগামীকাল

১৮

মিঠুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯

এরদোয়ানকে নিয়ে মন্তব্য করায় সাংবাদিকের ৪ বছর কারাদণ্ড

২০
X