থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
অনেকেই বলছেন, ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’- চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার অনেকেই ট্রল করে বলছেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হলে পর্দার ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে (নুসরাত ইমরোজ তিশা) কেন গ্রেপ্তার করা হবে না।
পারভেজ চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, ‘নুসরাত ফারিয়া দোষী হলে মা হিসেবে তিশা ডাবল দোষী’।
জাকারিয়া সরকার লিখেছেন, পর্দার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছাকে (তিশা) আটকের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তানভির সুজোন তিহান নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এইবার ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও ধরা হোক’।
গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আব্দুল গাফ্ফার লিখেছেন, পর্দার শেখ হাসিনার মাকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
মো. আবু রায়হান নামে একজন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য যদি নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে শেখ মুজিবের বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করা উপদেষ্টা ফারুকীর বউ তিশাকে কেনো গ্রেপ্তার নয়?’
এর আগে, রোববার (১৮ মে) দুপুরে ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে ইমিগ্রেশনে বাধার মুখে পড়েন নুসরাত ফারিয়া। এরপর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা আন্দোলন দমনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর দেশে মুক্তি পায় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ফারিয়া এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতারাও।।
মন্তব্য করুন