চার দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। লন্ডনের বিলাসবহুল ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে—এ তথ্য প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের জন্যে লন্ডনের অন্যতম লাক্সারি হোটেল ডরচেস্টারে ৪ রাতের জন্যে যে ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে, তার সর্বমোট ভাড়া কত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান কমেন্টে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘ভাড়া কত এবং ভাড়ার অর্থ কারা পরিশোধ করছে- এই দুটো তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং জানা দরকার। লন্ডনে উপস্থিত একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে এ দুটি তথ্য জানাবেন কি?’
এ ঘটনায় নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
কেউ কেউ ব্যয়বহুল এই রুম রিজার্ভের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গিক এবং অহেতুক বিতর্ক বলেও মন্তব্য করেছেন।
হারুন অর রশিদ পারভেজ নামে একজন কমেন্টে লেখেন, ‘ভাই আপনি কি চান তাহলে যে আপনার দেশের বর্তমান সরকার প্রধান এবং তার সফরসঙ্গীরা থ্রি স্টার হোটেলে থাকবে বা থাকা উচিত?’
ব্লগার মাহমুদুল হাসান বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন, ‘৩৭ রুম?' আরিফুল ইসলাম শান্ত ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘তোহ, ইউনূস গিয়ে রাস্তায় ঘুমাবে?’
অন্যদিকে সাজ্জাদুল আলম তুষার মন্তব্য করেন, ‘তো ওরা কি ওইখানে গিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকবে রুম রিজার্ভ না করে! এসব আজাইরা টপিক তুলে হুজুগে বাঙালির মনোযোগ আকর্ষণ আপনার দ্বারা-ই হয়।’
এদিকে আরেকটি পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য রিজার্ভ করা হোটেলের ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন