সম্প্রতি, কালবেলার সূত্রে সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। বিষয়টি রিউমর স্ক্যানার টিমের নজরে আসলে তার সত্যতা প্রকাশ করা হয়।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
যেখানে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান শেষে বলা হয়- সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে কোনো ফটোকার্ড কালবেলা প্রকাশ করেনি এবং বাস্তবে এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি বরং গত ১৭ সেপ্টেম্বর কালবেলার ফেসবুক পেজে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ফটোকার্ডের শিরোনাম বিকৃত করে ওই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে কালবেলার আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
রিউমর স্ক্যানার তাদের ওয়েবসাইটে আরও জানায়, কালবেলার ফেসবুক পেজে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রচারিত এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম এবং ছবি এডিট করে তাতে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনাম ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যুক্ত করে আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রচার করা হচ্ছে।
মূলত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক তথ্যপ্রত্যাশী জাতীয় তথ্য বাতায়নের উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের অপশনে প্রবেশ করলে পরিষদের চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শব্দটি দেখতে পান। পরে তিনি তার নিজের ফেসবুক আইডিতে ওই তথ্যটি জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর কালবেলা ‘সরকারি ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যানের নামের পাশে ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ফটোকার্ডের শিরোনাম এবং ছবি বিকৃতের মাধ্যমে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে কালবেলার ফটোকার্ড দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বেও কালবেলাকে সূত্র উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয় এবং তা নিয়েও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। এমন তিনটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলাকে উদ্ধৃত করে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং ওই দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত।
মন্তব্য করুন