ইংল্যান্ডে মেরুদণ্ডের চিকিৎসা শেষে সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি তামিম। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সোজা চলে যান নিজ বাসায়।
দেশে ফিরলেও বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিতে পারছেন না টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। তাকে এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর হালকা ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করতে পারবেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার।
অনেকদিন ধরেই পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন এ ওপেনার। যার কারণে মাঠে অনিয়মিত হওয়া ছাড়াও তার খেলায়ও প্রভাব পড়তে শুরু করে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ইংল্যান্ডে প্রথম দফায় দুটি ইনজেকশন দেওয়া হয় তামিমের পিঠের নিচের অংশের ক্ষতিগ্রস্ত দুই ডিস্কে। সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে পরে আরও একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎকের বিশ্বাস ইনজেকশন দেওয়ার ফলে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। মূলত এই কারণেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন এই ক্রিকেটার।
তামিমকে হয় অস্ত্রোপচার করতে হতো অথবা ইনজেকশন নিতে হতো। অস্ত্রোপচার করালে তামিমকে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হতো প্রায় ৩-৪ মাসের জন্য। সামনে এশিয়া ও বিশ্বকাপ হওয়ায়, ইনজেকশন নেন চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফিরে এক সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে হবে তামিমকে। ইনজেকশন দেওয়ার পর সেটা সফল হয়েছে কিনা, তা জানা যাবে তামিম অনুশীলন শুরু করলে। এই ইনজেকশন সাধারণত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে একটি নির্দিষ্ট সময়। তবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেন না চিকিৎসকরাও।
ইনজেকশনের কার্যকারিতা ২-৩ মাস থেকে শুরু করে ৪-৫ মাস পর্যন্ত থাকে। অনেক সময় এক মাসের মধ্যেও ব্যথা ফিরে আসতে পারে। যদি আবারও ব্যথা ফিরে আসে, তবে তৃতীয় ইনজেকশন নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য মতে এক বছরে তিনটির বেশি ইনজেকশন নেওয়া যায় না। আর এতে কাজ না হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় থাকবে না তামিমের সামনে।
মন্তব্য করুন