দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার ছায়া কাটিয়ে এবার নতুন আশার আলো দেখছে এশিয়া কাপ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে যে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, সেটিই এখন সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াতে পারে বলে দাবি করছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
ক্রিকবাজ বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী দাবি করছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে ছয় দলের এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রতিযোগিতা। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আগামী সপ্তাহেই, আর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ হতে পারে সূচি।
এবারের আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতের নাম থাকলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিলতায় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে পুরো আসর আয়োজনই সম্ভাব্য পথ। সংযুক্ত আরব আমিরাত এই মুহূর্তে সবচেয়ে এগিয়ে থাকলেও হাইব্রিড ফরম্যাটে আয়োজনের কথাও চলছে।
এপ্রিলের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং মে মাসে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে পাকিস্তান বয়কটের দাবিও উঠেছিল।
যদিও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখনো বন্ধ, তবে বিশ্ব ক্রিকেটের চাপ এবং রাজস্বের বাস্তবতা বিবেচনায় আসন্ন এশিয়া কাপে মুখোমুখি হওয়া এখন প্রায় নিশ্চিত।
সম্প্রতি আইসিসি ঘোষণা দিয়েছে, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৫ অক্টোবর কলম্বোতে এবং নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৪ জুন এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এর মধ্যেই এসিসি এশিয়া কাপ নিয়েও কাজ এগিয়ে নিচ্ছে—পেছনে রয়েছে টেলিভিশন ও স্পনসরশিপের বিপুল অর্থনৈতিক চাপ।
বিসিসিআই নিজে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের অর্থনৈতিক ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু আইসিসি, এসিসি এবং অন্যান্য বোর্ডের জন্য এই ম্যাচগুলোই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় রাজস্ব উৎস। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক না থাকলেও, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হওয়া প্রক্রিয়া বজায় রাখার চাপ বাড়ছেই।
যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি, তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি স্পষ্ট করছে—এশিয়া কাপ ২০২৫ বাতিল নয়, বরং অপেক্ষমাণ উত্তেজনার সূচনা হতে চলেছে সেপ্টেম্বরেই। আর এই টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তো আলাদা একটা বিশ্বকাপ!
মন্তব্য করুন