শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ, সঙ্গে মিলেছে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের বড় পুরস্কার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ জয় পেয়েই এক ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছে টাইগাররা। সিরিজে ১-১ সমতা আনার এই জয়ে এখন শুধু ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা—লঙ্কার মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি।
প্রথম ম্যাচে জয় প্রায় নিশ্চিত করেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই ভুল আর করেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখে ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে, আর তানভীর ইসলাম, শামীম হোসেনদের বোলিং তাণ্ডবে ১৬ রানের জয়ে টাইগাররা ফিরিয়ে দেয় সমতা।
এই এক জয়ের সুবাদেই মিলেছে র্যাঙ্কিংয়ের ‘বোনাস’। আইসিসির হালনাগাদ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন নবম, রেটিং পয়েন্ট ৭৮। এক পয়েন্ট কম নিয়ে দশম স্থানে নেমে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ শুরুর আগে ৭৬ পয়েন্টে ছিল বাংলাদেশ, এবং তখনই হিসাব ছিল—সিরিজে অন্তত এক ম্যাচ জিতলেই নবম স্থানে ওঠা সম্ভব।
অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে হেরে শ্রীলঙ্কাও পড়েছে ধাক্কায়। এক ধাপ নেমে তারা এখন পঞ্চম স্থানে, রেটিং পয়েন্ট ১০২। এই সুযোগে চারে উঠে এসেছে পাকিস্তান (১০৪ পয়েন্ট)। শীর্ষ তিনে যথারীতি ভারত, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
র্যাঙ্কিংয়ের এই অগ্রগতি শুধু পরিসংখ্যান নয়, ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার স্বপ্নও এর সঙ্গে জড়িয়ে। বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে র্যাঙ্কিংয়ে থাকতে হবে সেরা আটে—যার হিসাব কাটা হবে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তাই প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি জয় এখন বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান।
এখন চোখ শেষ ম্যাচে। তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় মানেই সিরিজ জয়ের গৌরব, যা লঙ্কার মাটিতে আগে কখনো পায়নি টাইগাররা। এর আগে ৬টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে চারবার হেরেছে, আর দুটি হয়েছে ড্র। এবারের সিরিজ যদি জিততে পারে বাংলাদেশ, তবে ইতিহাস রচনার পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানও বাড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে।
তবে শেষ ম্যাচে জয় পেলেও র্যাঙ্কিংয়ে আর ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। তবে রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে ভবিষ্যতের জন্য আরও মজবুত ভিত্তি গড়ার সুযোগ থাকছে মিরাজ-শান্তদের সামনে।
লঙ্কায় শুধু জয় নয়, এবার টাইগারদের চোখ থাকুক ইতিহাস আর ভবিষ্যৎ দুটোই লেখার দিকে।
মন্তব্য করুন