এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যাওয়ার কঠিন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ৮৯ রানের বড় জয় পেয়েছে সাকব আল হাসানের দল। এই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। আর তাতেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে নাম লেখান দুই টাইগার ব্যাটার।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে জোড়া সেঞ্চুরি করাই ওয়ানডে ক্রিকেটের অর্নাস বোর্ডে নাম উঠেছে শান্ত-মিরাজের। ২০০৮ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলও শতরান করে এই অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সংস্করণে কোনো খেলোয়াড় সেঞ্চুরি বা ৫ উইকেটের দেখা স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে নাম যুক্ত হয়। মূলত ক্রিকেটারদের অর্জনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বা লিপিবদ্ধ করতেই এই বোর্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর সেই সুবাদেই নাজমুল হোসেন শান্ত- মেহেদি হাসান মিরাজের নাম উঠেছে।
গতকাল শান্ত-মিরাজ ছাড়াও পেসার তাসকিনেরও সুযোগ ছিল। তবে ৪৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেই থামেন এই টাইগার গতিতারকা। পাঁচ উইকেট পেলে শান্ত-মিরাজদের পাশাপাশি তার নামও যুক্ত হতো গাদ্দাফির অনার্স বোর্ডে।
লাহোরের গাদ্দাফির অনার্স বোর্ডে দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম ওঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পিসিবি জানায়, ‘বাংলাদেশের দুই সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে নিজেদের নাম লিখিয়েছে।’
লাহোরে আফগানদের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচে ব্যাট হাতে বাংলাদেশ ইনিংসের নেতৃত্ব দেন মিরাজ-শান্ত। দলীয় ৬৩ রানের মধ্যে নাঈম ও হৃদয়ের আউটের পর ১৯৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। তৃতীয় উইকেটে যা টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই জুটি গড়ার পথে মিরাজ খেলেছেন ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস। আর শান্ত ১০৪ রানে রানআউট কাটা পড়েন।
মন্তব্য করুন