এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ে লাহোরে আফগানিস্তানকে ২৯২ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের রানের জবাবে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও জয়ের জন্য ছুঁটছে আফগানরা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলংকা। ৩৭.১ ওভারের মধ্যে লঙ্কানদের হারাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকিট পাবে আফগানিস্তান।
সুপার ফোরে উঠতে হলে ৩৭.১ ওভারের মধ্যে লঙ্কানদের হারাতে হবে- এমন সমীকরণে ব্যাটিং করতে নামে আফগানিস্তান। ২৯২ রানের জবাবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। তৃতীয় ওভারে ৪ রান করে রাজিথার বলে আউট হন গুরবাজ। পঞ্চম ওভারে আবারও আফগান শিবিরে রাজিথার আঘাত। এবার আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ৭ রানে সরাসরি বোল্ড করেন। দলীয় ৫০ রানের মাথায় ৪টি চারে ২২ রানে আউট হন গুলবাদিন। শ্রীলঙ্কার বেবি মালিঙ্গা নামে পরিচিত পাথিরানা বলে লেগ বিফোর হন আফগান ব্যাটার।
চতুর্থ জুটিতে ৭১ রান সংগ্রহ করে রহমত শাহ ও শাহিদি। ৪৫ রানে রাজিথার বলে ফিরে যান রহমত। এরপর ক্রিজে আসেন মোহম্মদ নবী। এসেই ঝড় তোলেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটান এই আফগান অলরাউন্ডার। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন নবী।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। দারুণ সূচনার পর হটাৎই ছন্দ পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার। ৩৫ রানে গুলবাদিনের বলে আউট হন করুণারত্নে। আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন। ৮৬ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন সামারাবিক্রমা। এবারও উইকেট সংগ্রাহক সেই গুলবাদিন নাঈব।
চতুর্থ উইকেটে আশালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ১০২ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়েন কুশাল মেন্ডিস। দলীয় ১৮৮ রানের মাথায় রশিদের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৬ রান করেন আশালঙ্কা। ফিফটি পূরণ করে রান আউট হয়ে ৯২ তে কাটা পড়েন কুশাল মেন্ডিস। ধনাঞ্চয়া ও অধিনায়ক শানাকারা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বড় সংগ্রহের পথে ছেদ পড়ে। তবে অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন থিকসেনা ও ওয়াল্লাগে। ফলে আফগানদের সামনে ২৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। থিকসেনা ২৮ এবং ওয়াল্লাগে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
আফগানদের পক্ষে ৬০ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট শিকার করেন গুলবাদিন নাঈব। এছাড়া রশিদ দুইটি এবং মুজিব একটি উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন