ফাইনালের হাতছানি। মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্য, আরাধ্য শিরোপার পথে আরেকটি জয়ই ছিল যথেষ্ট। দুবাইয়ের উইকেটে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী হলেও ম্যাচের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের নাগালে। শুধু ধৈর্য ধরে খেললেই হতো। কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং আর উইকেট হারানোর প্রতিযোগিতায় স্বপ্নটাই ভেঙে গেল। ১১ রানের হার নিয়ে বিদায় নিতে হলো টাইগারদের, আর ফাইনালের টিকিট পকেটে পুরল পাকিস্তান।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের কার্যত সেমিফাইনাল ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলাররা শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছিলেন। তাসকিন আহমেদ চার বলের মধ্যেই ফারহানকে ফেরান, পরে রিশাদ, শেখ মেহেদি আর মুস্তাফিজ মিলে পাকিস্তানের টপ অর্ডার গুটিয়ে দেন। এক পর্যায়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সালমান আগার দল।
কিন্তু শেষদিকে মোহাম্মদ হারিসের ২৩ বলে ৩১ ও নওয়াজের ১৫ বলে ২৫ রানে ভর করে পাকিস্তান দাঁড় করায় ১৩৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ঝলমলে ছিলেন—৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। রিশাদ ও মোস্তাফিজও পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নামতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ইমন শূন্য হাতে ফেরার পর হৃদয়ও ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করা সাইফ খেলেন মাত্র ১৮ রানের ইনিংস। একে একে নুরুল হাসান, মেহেদি, জাকের আলি ফিরে গেলে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
শামীম হোসেন অবশ্য কিছুটা লড়াই করেছিলেন। ২৫ বলে ৩০ রান করে তিনি কিছুটা আশার আলো জ্বালালেও শাহীন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরতেই শেষ হয়ে যায় সব স্বপ্ন। এরপর কেবল ব্যবধান কমানোর লড়াই। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে থামে বাংলাদেশের ইনিংস ১২৪ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। সাইম আয়ুব পেয়েছেন ২ উইকেট।
মন্তব্য করুন