বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ‘ভুয়া বোর্ড’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের আইন মেনেই এই বোর্ডকে বাতিল করা হবে।
ইশরাকের অভিযোগ, বিসিবির নির্বাচনকে সাধারণ মানুষ ও ক্রীড়া সংগঠকরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, বর্তমানে স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে নীরব থাকলেও এটি দীর্ঘস্থায়ী নয়। শিগগিরই যারা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে প্রকাশিত হয় বিসিবি নির্বাচনের ফলাফল। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার থাকার কথা ছিল ১৯২ জন, তবে নরসিংদী থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন না আসায় চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯১। আদালতের নির্দেশে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া ১৫ ক্লাবের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন নির্বাচনে।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচনকেন্দ্রে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। কেবল ভোটার ও অনুমোদিত ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পেরেছেন, ফলে অনিয়মের কোনো অভিযোগ ওঠেনি।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবার নির্বাচিত হয়েছেন মোট ২৩ জন পরিচালক— জেলা ও বিভাগীয় কোটায় ১০ জন, ঢাকার ক্লাব কোটায় ১২ জন এবং সাবেক ক্রিকেটার ও সরকারি সংস্থার কোটায় ১ জন। সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
নির্বাচনের আগে থেকেই এটি নিয়ে বিতর্ক চলছিল। প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে একাধিক প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছিলেন, যার মধ্যে আছেন তামিম ইকবালও। সেই প্রেক্ষাপটেই ইশরাক হোসেনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মন্তব্য করুন