

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি মায়ের সঙ্গে মাংস কিনতে গিয়ে ভূমিকম্পে ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে নিহত হয়েছেন। তীব্র ঝাঁকুনিতে একটি ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রাফিউলের মা নুসরাত।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় রাজধানী ঢাকার বংশালের কসাইটুলীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাফি বগুড়া শহরের সূত্রাপুর গোহাইল রোড এলাকার ওসমান গণি ওরফে রুস্তম পরিবারের প্রথম সন্তান। তার বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ বাঞ্চারাম সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। রাফি বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পাস করেন।
রাফিউল ইসলাম রাফির চাচা আব্দুস সালাম রুবেল জানান, ‘রাফির বাবা ওসমান গণি ঘটনার সময় বগুড়ার বাড়িতে ছিলেন। সংবাদ পেয়েই তিনি ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন। রাফির মরদেহ বগুড়ায় এনে শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’
এদিকে রাফির মৃত্যুর সংবাদ বগুড়ায় পৌঁছার পর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাফির মা নুসরাত বেগমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলীতে একটি ভবনের নিচতলায় নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাফি ও তার মা। এ সময় হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হয়। তীব্র ঝাঁকুনিতে দোকানের সামনে থাকা ক্রেতাদের ওপর ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রাফিউল ও তার মা নুসরাত। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মা নুসরাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার।
মন্তব্য করুন