

দিনজুড়ে প্রতিশ্রুতির ঝলক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে—কিন্তু প্রতিবারই ভারত ঠিক সময়ে আঘাত হেনে সেই জ্বলে ওঠা দমিয়ে দিয়েছে। দুই দফা ৮০–রানের জুটি, টপ–অর্ডারের সবারই দুই অঙ্কে পৌঁছানো… কিন্তু কেউই ইনিংসকে বড় করতে পারলেন না। আর সেই সুযোগেই প্রথম দিন শেষে ২৪৭/৬–এ দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে রেখে এগিয়ে থাকল ভারত।
গৌহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়ামে ভারতের হয়ে সবচেয়ে ধারালো ছিলেন কুলদীপ যাদব—নিরন্তর ভ্যারিয়েশনে নিলেন ৩ উইকেট। সঙ্গ দিলেন জাসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা, যাদের সঠিক সময়ে নেওয়া স্ট্রাইকেই বদলে গেছে দিনের রূপরেখা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা আগ্রাসীভাবেই করে। আইডেন মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন মিলে তোলেন ৮২ রানের জুটি। তবে নতুন বলে নাটক তৈরি করতে না পারলেও সেশন শেষে ফিরে এসে বুমরাহের নিখুঁত বলে কভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মার্করাম আউট হন। চা বিরতির ঠিক আগে সেই স্ট্রাইক ভারতকে খেলায় ফেরায়: ৮২/১।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই কুলদীপ রিকেলটনকে (৩৫) কিপারের হাতে তুলে দিলে চাপ আরও বাড়ে। তবে টেম্বা বাভুমা ও ট্রিস্টান স্টাব্স দেখালেন ধৈর্য আর ব্যাটিং বুদ্ধিমত্তা—স্ট্রাইক ঘুরিয়ে, খারাপ বল পেলে বাউন্ডারি মেরে তোলেন ৮৪ রানের জুটি।
এ সময় বাভুমা নিজের ১,০০০ টেস্ট রানও পূর্ণ করেন অধিনায়ক হিসেবে—মাত্র ২০ ইনিংসে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।
শেষ সেশনের শুরুও ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। দুজন মিলে বাউন্ডারি তুলে ইতিবাচক শুরু করেন। কিন্তু জাদেজাকে চার মারতে গিয়েই বাভুমা (৪১) ফেরেন—ডীপ মিড–অফে ক্যাচ দিয়ে।
স্টাব্সও করছিলেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং, ৪৯ পর্যন্ত এসে ফেলেন ধৈর্যের পরীক্ষা—কুলদীপের টার্ন আর বাউন্সে এজ দিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ।
কুলদীপ এরপর তুলে নেন উইয়ান মুল্ডারকেও, মিড–অফে ক্যাচ, স্কোর তখন ২০১/৫।
এরপর টনি ডি জর্জি আক্রমণে পাল্টাঘাত করেন, কুলদীপকে চার ও ছয় মারেন। সঙ্গে ছিলেন সেনুরান মুথুসামি, যিনি ওয়াশিংটন সুন্দরের ঢিলেঢালা বলগুলো কাজে লাগিয়ে দুটো বাউন্ডারি তুলে নেন।
দিনের প্রায় শেষেই সেই প্রতিরোধ ভাঙিয়ে দেন মোহাম্মদ সিরাজ।
দিনশেষে সমীকরণ
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪৭/৬ (স্টাব্স ৪৯, বাভুমা ৪১; কুলদীপ ৩-৪৮)
মন্তব্য করুন