

কক্সবাজারের নরম রোদে শুরুটা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত বোলিং দিয়ে; পাকিস্তানকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দল। কিন্তু সেই একই উইকেটে ব্যাট হাতে নেমে যেন সব হিসাব গুবলেট পাকিয়ে গেল। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও মাত্র ৭৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা, আর এতে অতিথিদের ১৩ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে যায় পাকিস্তান।
বুধবার কক্সবাজার একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল পাকিস্তান। স্পিনারদের শৃঙ্খল বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। পুরো ইনিংস টিকেছিল মাত্র ১৯.৪ ওভার, সংগ্রহ ৮৮ রান। ওপেনার ও অধিনায়ক ইমা নাসির ৪১ বলে ৩০ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলকে বড় সংগ্রহে নিতে পারেননি। পাঁচ নম্বরে নেমে আরিশা আনসারির ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস ছিল স্কোরবোর্ডে আরেকটি উল্লেখযোগ্য অবদান।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন জারিন তাসমিন লাবণ্য। তাঁর নির্ভুল লাইন–লেন্থে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট তুলে নেন হাবিবা ইসলাম পিংকিও।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং লাইন–আপ ধস নামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। মাত্র ২২ রানেই ফিরতি পথ ধরেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন অরিত্রি নির্জনা মন্ডল (২০) এবং সাদিয়া আক্তার (১৬)। শেষ দিকে ববি খাতুনের ১৩ রানে স্বাগতিকদের ক্ষীণ আশা কিছুটা টিকে থাকলেও আর ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের পক্ষে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহার বানু—৩ উইকেটে ভেঙে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। সাথে রোজিনা আকরামের সুশৃঙ্খল স্পেল—৪ ওভারে মাত্র ৫ রানে ২ উইকেট—স্বাগতিকদের পিছু ছাড়েনি।
সিরিজে নিজেদের ফেরাতে এখন সামনে শুক্রবারের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি। ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে সেই ম্যাচে আরও পরিণত পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেই সমতায় ফেরার সুযোগ আছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দলের সামনে।
মন্তব্য করুন