বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মূলত বরাবরই স্পিননির্ভর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল স্পিননির্ভরতা কাটিয়ে পেস বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকেছে। বোলিংয়ে এই অভাবনীয় পরিবর্তনের জন্য বোলারদের সাথে আরও একজনকেও কৃতিত্ব দিতে হবে, তিনি হলেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। নিম্নমানের এক পেস বোলিং ইউনিট থেকে সমীহ জাগানো এক বোলিং ইউনিটে পরিণত করা এই কোচকে অবশ্য আর তাসকিন-শরীফুলদের পরামর্শ দিতে দেখা যাবে না। আগামীকালের অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ হচ্ছে ‘সাদা বিদ্যুতের’।
২০২২ সালের মার্চে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর গত দেড় বছর তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামদের তুলে এনেছেন সমীহ জাগানো পেস অ্যাটাক হিসেবে। এর জন্য অবশ্য বিসিবির কাছে অবশ্য কৃতজ্ঞ ডোনাল্ড। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এখানে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। তারা গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে, আমি গর্বিত। তাদের আমি নিজের বন্ধু হিসেবে গণ্য করি।’
চলে গেলেও পেসারদের মনে থেকে যাবে ডোনাল্ডের, সেটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি। বিদায়ের আগে টিম মিটিংয়ে তাসকিন-শরিফুলদের উদ্দেশে কী বলেছেন, সেটাও জানালেন কিংবদন্তি এই পেসার, ‘আজকে আমি তাদের বলেছি, বাংলাদেশের বাস আমাকে সেঞ্চুরিয়ন পার্ক থেকে তুলে এনেছে এবং পুনেতে রেখে যাচ্ছে। এটি আনন্দের কিছু নয়। কখনোই আনন্দের নয়। কারণ আপনি দারুণ সম্পর্ক তৈরি করেছেন, শুধু দল নয়, ফাস্ট বোলিং একটি ইউনিটও। এই ছেলেদের নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।’
অবশ্য বাংলাদেশ দল ছাড়লেও তার পরবর্তী ঠিকানা কোথায় হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। পুনে থেকে সরাসরি নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন এই কিংবদন্তি।
মন্তব্য করুন