ভারত বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পুরোপুরি ঢেলে সাজাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট ব্যবস্থাকে। পাল্টানো হয়েছে কোচ থেকে শুরু করে নির্বাচক সবাইকে। তবে এতসব অদল-বদলের মধ্য দিয়ে সবাইকে অবাক করে স্পট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সালমান বাটকে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে নিয়োগ দেওয়ার পরই সকল স্তর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় পিসিবিকে।
সমালোচনার মুখে অবশ্য নিয়োগের মাত্র একদিনের মাথায় প্রধান নির্বাচকের পরামর্শকের পদ হারাতে হলো সালমান বাটকে। তাকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। গতকাল শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই খবর জানান পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ।
গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সাবেক তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, কামরান আকমল ও রাও ইফতিখার আনজুমকে প্রধান নির্বাচকের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। পাকিস্তানের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই তিনজন ওয়াহাব রিয়াজকে পরামর্শ দেবেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এই কমিটি ঘোষণার পরেই অবশ্য নানামুখী সমালোচনা শুরু হয়। প্রথমত স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে ওয়াহাব রিয়াজের বিরুদ্ধে। নিয়োগ পাওয়া তিনজনই ওয়াহাবের মতোই পাঞ্জাবি। পাকিস্তানের ক্রিকেটে পাঞ্জাব আগে থেকেই প্রভাবশালী অবস্থানে আছে। ওয়াহাব নিজেও পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী।
তবে সবচেয়ে বড় বিতর্কটা সালমান বাটের নিয়োগ নিয়ে। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম পিসিবিতে কোনো পদ পেয়েছিলেন সালমান। ইএসপিএন-ক্রিকইনফো জানিয়েছে, সালমানের নিয়োগ নিয়ে পিসিবির ভেতরেই আপত্তি ছিল। অন্তত একজন তার নিয়োগের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন। এমন প্রবল সমালোচনার প্রেক্ষিতেই দ্রুত সংবাদ সম্মেলন ডেকে নতুন সিদ্ধান্ত জানান প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ।
সালমানকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ওয়াহাব বলেন, 'সালমান বাটকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে আমার সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমি বন্ধুত্বকে প্রাধান্য দিয়েছি। এটা আমি হতে দিতে পারি না। যে কারণে আমি বাটকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি।'
এদিকে ওয়াহাব আরও জানান, সালমানের জায়গায় ৩৭ বছর বয়সী আসাদ শফিককে সাময়িকভাবে নির্বাচক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন