ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৯.৫ ওভারে ৯৮ রান দিয়ে খলনায়ক হয়েছিলেন স্যাম কুরান। তবে নিজেকে ফিরে পেতে মোটেই সময় নেননি এই ইংলিশ পেস অলরাউন্ডার। পরের ম্যাচেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান। আর নিজেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন স্যাম কুরান।
বুধাবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে অ্যান্টিগুয়ার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিং করে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে ১০৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ২০৬ রান তুলে নেয় ইংলিশরা।
স্বাগতিকদের ২০৩ রানে জবাবে উড়ন্ত শুরু পায় ইংল্যান্ড। ফিলিপ সল্ট ও উইল জ্যাকসের ৫০ রানের ঝোড়ো ওপেনিং জুটি গড়েন। ২১ রানে বিদায় নেন সল্ট। দ্রুতই জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেটকে হারায় ইংল্যান্ড। আরেক ওপেনার জ্যাকস ৭২ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে রাদারফোর্ডের শিকার হয়ে ফেরেন।
দলীয় ১১৬ রানের মাথায় জ্যাকস ফিরলেও জয় পেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি ইংরিশদের। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক জস বাটলার ও হ্যারি ব্রুক অপরাজিত ৯০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ইংলিশ অধিনায়ক ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৫৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। আর ৪৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ইংলিশ বোলারদের তোপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯.৪ ওভারে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ওয়ানডেতে শতরানের পার্টনারশিপ গড়লেও এদিন ২৪ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান ৪ স্বাগতিক ব্যাটার। ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক শাই হোপ এবং শেরফানে রাদারফোর্ড।
পঞ্চম উইকেটে ১২৯ রানের জুটিতে উইন্ডিজকে ম্যাচে ফেরান তারা। ৬৩ রান করা রাদারফোর্ডকে সাজঘরে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টোন। এই উইকেটের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে উইন্ডিজের মিডল এবং লোয়ার অর্ডার। শেষ ৫ উইকেটে ৫২ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন অধিনায়ক হোপ।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন স্যাম কুরান ও লিয়াম লিভিংস্টোন। এ ছাড়া গাস আটকিনসন ও রেহান আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন