বাংলাদেশের ক্রিকেটে একসময় অটোমেটিক চয়েজ ভাবা হতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তবে ফর্ম এবং ইনজুরি তাকে ছিঁটকে দেয় জাতীয় দলের সব ফরম্যাট থেকেই। অনেকেই সেই সময় তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তবে তখনও নিজের গল্পের শেষটুকু লেখা বাকি ছিল মাহমুদউল্লাহর।
এই বিশ্বকাপে ওয়ানডে ক্রিকেটে স্বপ্নের মতো প্রত্যাবর্তন হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টেস্ট থেকে আগেই অবসর নেওয়া এই ক্রিকেটার সাদা বলের ৫০ ওভারের ফরম্যাটে নিজের কার্যকারিতার প্রমাণ দিয়ে নিশ্চিতভাবে এখন দলের অটোমেটিক চয়েজ। যদিও বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ায় নিউজিল্যান্ড সফরের দলে জায়গা হয়নি তার। ইনজুরি থেকে ফেরার অপেক্ষায় থাকা রিয়াদ অপেক্ষায় আছে আরও এক প্রত্যাবর্তনের। টি-টোয়েন্টিতে থমকে যাওয়া ক্যারিয়ারে কি আবার নতুন আলো জ্বলবে?
সর্বশেষ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দেখা গিয়েছিল রিয়াদকে। এরপর নেতৃত্বের পাশাপাশি জাতীয় দল থেকেও একপ্রকার উপেক্ষিতই হয়ে যান রিয়াদ।
ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে অবশ্য ওয়ানডে দলেও একপ্রকার উপেক্ষিতই ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফেরানো হয় তাকে। সেই সিরিজে ভালো করায় বিশ্বকাপ দলে রাখা হয় সাবেক এই অধিনায়ককে।
আগামী বছরের জুনে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৯ম আসরের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ানডেতে রাজসিক প্রত্যাবর্তনের পর এবার কি টি-টোয়েন্টিতেও ফেরানো হবে রিয়াদকে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের সভাপতি জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘এটা বেইজড অন পারফরম্যান্স, যদি সে পারফর্ম করতে পারে অবশ্যই টি-টোয়েন্টিতে থাকবে। সিলেক্টর ও কোচরা আছে, অবশ্যই তারা ওর পারফরম্যান্স মনিটর করবেন। মাঠের পারফরম্যান্স যদি তার পক্ষে বলে তাহলে কেন নয়, অবশ্যই সে ফিরবে।’
অনুষ্ঠিতব্য এই বিশ্বকাপের আগে রিয়াদের সামনে দলে ফেরার সুযোগ করে দিতে পারে বিপিএলের দশম আসর। আগামী জানুয়ারির ১৯ তারিখ শুরু হবে এবারের বিপিএল। বিপিএলে দারুণ কিছু করলে রিয়াদের সামনে খুলেও যেতে পারে জাতীয় দলের দরজা।
মন্তব্য করুন