বাংলার ক্রিকেটের মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিমের নিজ জেলা বগুড়া থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। জাতীয় দলে খেলছেন মুশফিকুর রহিমের সেই ৪ নম্বর ব্যাটিং পজিশনে।
মুশফিকের মতো তিনিও ধীরে ধীরে জাতীয় দলের জন্য আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছেন। এরইমধ্যে বেশ কিছু ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংসের মধ্য দিয়ে হৃদয় জিতে নিয়েছেন কোটি মানুষের ভালোবাসা।
গতবছর টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটারকে ঘিরে বাংলার মানুষের প্রত্যাশার পারদ অনেক ওপরে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দর্শকদের সব চাওয়া যেন একা হাতে পূরণ করলেন তিনি। ছোট রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ধুকছিল বাংলাদেশ। অন্যান্য ব্যাটাররা যখন স্ট্রাইকরেট ১০০ পার করতে পারছিলেন না, হৃদয় তখন ব্যাট করলেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। দেখিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টিটা এভাবেই খেলতে হয়।
আউট হওয়ার আগে তাওহিদ হৃদয় খেলেছেন ২০ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যেই ইনিংসে চার এর থেকে ছয় এর মারই ছিল বেশি। চার ছয় ও এক চারে সাজান এই ইনিংস দর্শদের মন কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
হাসারাঙ্গার যেই ওভারে আউট হয়েছেন ওই ওভারেই তিন বলে তিন ছক্কা মেরে ম্যাচটাকে বাংলাদেশের পক্ষে নিয়েছেন। সেই ওভারের কল্যাণেই বাংলাদেশ এক ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।
মায়ের গহনা বিক্রি করে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসা এই ক্রিকেটার আজ হাজার মাইল দুরে লাল সবুজের ওই জার্সিটার প্রতিনিধিত্ব করছেন। খেলছেন নিজের স্বপ্নের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের পজিশনে। বাতাসে গুঞ্জন আছে এই হৃদয়ের জন্যই টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডবল। তবে তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া হৃদয় ঠিকই উজ্জ্বল করেছেন বড় ভাইয়ের নাম। বাংলাদেশ দলে তিনিই এখন আশার আলো।
সবাই যেখানে ব্যর্থ। হৃদয় সেখানেই সফল। হোক তা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি। মাত্র এক বছর আগে জাতীয় দলে আসা এই ক্রিকেটার বেশ কিছু রেকর্ডের খাতাতেও নিজের নাম লিখিয়েছেন। তবে আগের সব কীর্তিকে ছাপিয়ে হৃদয় এখন বিশ্বকাপের হিরো। বিশ্বকাপে যেভাবে শুরুটা করলেন, এই ধারা অব্যহত থাকলে, যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার হাতে উঠতেই পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাটা।
মন্তব্য করুন