অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটাল টটেনহ্যাম হটস্পার। স্যান মামেস স্টেডিয়ামে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ট্রফির খাতা ১৭ বছর পর খুললো লন্ডনের ক্লাবটি।
ম্যাচের একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি আসে প্রথমার্ধের শেষদিকে, ৪২তম মিনিটে। গোলদাতা ব্রেনান জনসনের প্রথম প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার লুক শ’য়ের গায়ে লেগে ফিরে এলেও দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি ওয়েলস উইঙ্গার। কাছের পোস্ট দিয়ে গোলকিপার ওনানাকে পরাস্ত করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে ম্যাচে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা চালায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সুযোগ তৈরি করেছিলেন হয়লুন্ড, লুক শ ও গারনাচোরা। তবে গোলপোস্টের সামনে টটেনহ্যামের দৃঢ় প্রতিরক্ষা আর গোলকিপার ভিকারিওর সাহসী পারফরম্যান্সে কোনো ফল আসেনি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে সাদা জার্সিধারীরা।
এই শিরোপা টটেনহ্যামের জন্য বিশেষ এক অধ্যায়ের সূচনা। ২০০৮ সালে লিগ কাপ জয়ের পর এটাই তাদের প্রথম বড় ট্রফি। মৌসুমের শুরুতে দলের কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগ্লু বলেছিলেন, দ্বিতীয় মৌসুমে তিনি সবসময় কিছু না কিছু জেতেন—আজ সেটিই বাস্তবে রূপ নিল।
অন্যদিকে, হতাশার রাত পার করল ইউনাইটেড। খেলার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কাজের কাজটি করতে পারেনি তারা। কোচ রুবেন আমোরিমের জন্য এ হার নিঃসন্দেহে কঠিন ধাক্কা।
শিরোপা উৎসবের আবহে টটেনহ্যাম এখন প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচ খেলবে ব্রাইটনের বিপক্ষে। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শেষদিনে মুখোমুখি হবে অ্যাস্টন ভিলার। তবে তার আগে, ইউরোপা লিগের এই রাতটিই ইতিহাস হয়ে থাকল টটেনহ্যামের জন্য—একটি শিরোপার, একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প।
মন্তব্য করুন