এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ খেলতে হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তবে সামান্য সমীকরণ সহজ হলেও, বাস্তবতা মোটেও তেমন নয়। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবেররা জানালেন, এই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সামনে থাকা প্রতিটি ম্যাচই এমনভাবে খেলতে হবে যেন সেটা ফাইনাল।
সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবেররা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এটা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরও চায় তিন পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতে। প্রতিটি ম্যাচই এখন ফাইনালের মতো।’
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল। ফলে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ১, যা সমানভাবে ভাগ হয়েছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মধ্যেও। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে জামাল ভূঁইয়ারা। এই ম্যাচ জিততে না পারলে এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ঝুলে যাবে।
ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে মাঠে নামার আগে শেষ মুহূর্তে দল গুছিয়েছেন ক্যাবেররা। তিনি বললেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। যদিও সময় কম ছিল, তবে ভুটানের বিপক্ষে জয় দলের মনোবল বাড়িয়েছে। এখন সবাই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
তবে ক্যাবেররা সরাসরি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিতে নারাজ। তিনি বরং বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন, ‘এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, কারণ প্রতিটি গ্রুপ থেকে শুধু একটি দলই যাবে। ভারতের সঙ্গে ভালো খেলেছি, তবে আরও উন্নতি দরকার। কিছু জায়গায় আমরা এখনো কাজ করছি যাতে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট তুলে নেওয়া যায়।’
এদিকে, প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ২৬ জন ফুটবলারের মধ্য থেকে তিনজনকে বাদ দিতে হবে। তবে কানাডা প্রবাসী হামজা ও সামিত সোমকে রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কোচ সামিতের প্রশংসা করে বলেন, ‘টেকনিক, পরিকল্পনা, কৌশল—সবকিছুর সঙ্গেই দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে ও।’
চার দলের গ্রুপে পয়েন্ট সমান হওয়ায় এখন প্রতিটি ম্যাচই হয়ে উঠেছে বাঁচা-মরার লড়াই। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের স্বপ্ন আবার নতুন করে জেগে উঠবে, আর হার মানেই অনেকটা পিছিয়ে পড়া। তাই ক্যাবেররার ভাষায়, ‘প্রতিটি ম্যাচই এখন যুদ্ধ।’
মন্তব্য করুন