লিওনেল মেসি যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখার পর থেকেই ইন্টার মায়ামিকে ঘিরে এক অন্য রকম আবহ তৈরি হয়েছে। লিগ কাপ, সাপোর্টার্স শিল্ড ও এমভিপি সম্মান—মাঠে দারুণ প্রভাব ফেললেও ক্লাবের ভেতরের চিত্র একেবারেই উল্টো বলছেন সাবেক এমএলএস ও লিডস ইউনাইটেড তারকা মাতেউস ক্লিখ। তার দাবি, ইন্টার মায়ামি এখন কার্যত ‘মেসিদের ক্লাব’, যেখানে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ—কাউকেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় না।
ফুট ট্রাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লিখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মায়ামিতে যেতে কাউকেই সুপারিশ করব না, যতদিন মেসি এখানে আছে। এটা একটা বিপর্যয়! খেলোয়াড়রা চলে যাচ্ছে, কোচ আর ফিজিওরা চলে যাচ্ছে। পুরো সংগঠনটাই এলোমেলো। মেসির বাবা মূলত ক্লাব চালান। কিছুই তাদের অনুমতি ছাড়া হয় না।’
পোলিশ এই মিডফিল্ডার আরও যোগ করেন, ‘সবার মুখের ভাষাও এখন স্প্যানিশ। আরেকটা বড় সমস্যা হলো, স্টেডিয়ামটা মায়ামি শহর থেকে ৪৫-৫০ মিনিট দূরে।’
ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসির প্রভাব নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনার শেষ নেই। ডেভিড বেকহ্যাম নিজে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে বড় ভূমিকা রাখলেও, ক্লাব পরিচালনায় মেসি পরিবার অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ উঠছে নিয়মিত।
ক্লিখের মতে, এমএলএস-এ খেলতে চাইলে অন্য ক্লাবগুলো ভালো বিকল্প হতে পারে। ‘নিউইয়র্কে যাওয়া ভালো। রেড বুলসের দুর্দান্ত স্টেডিয়াম আছে, ম্যানসিটি ক্লাবও চমৎকার এক স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ন্যাশভিল হলে আরও ভালো—অসাধারণ জায়গা। কলম্বাস, সিনসিনাটি, পোর্টল্যান্ড বা সিয়াটলে দারুণ পরিবেশ আছে।’
এদিকে, সমালোচনা সত্ত্বেও মেসি কিন্তু মায়ামিতেই থাকছেন। চলতি মৌসুম শেষে তার বর্তমান চুক্তি শেষ হলেও শিগগির নতুন চুক্তি সই করবেন বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ৪০ বছর বয়স পেরিয়েও ইন্টার মায়ামির জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন