২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাজে পারফরম্যান্সের পর এখনো গাণিতিকভাবে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে সান মারিনোর। ২০২৪-২৫ সালের নেশন্স লিগে অভাবনীয় সাফল্যের কারণেই এমন সম্ভাবনা টিকে আছে ফিফা র্যাংকিংয়ের সবচেয়ে তলানিতে থাকা দলটির সামনে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ২১০তম এবং সর্বশেষ স্থানে থাকা সান মারিনো বিশ্বকাপের ইউরোপীয় বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এইচ’-এর সাতটি ম্যাচেই হেরে গ্রুপের তলানিতে রয়েছে। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রোমানিয়া। তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরুর আগে অনুষ্ঠিত নেশন্স লিগে গ্রুপ ডি১-এ শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে সান মারিনো। আর এর কারণেই প্লে-অফের মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ টিকে রয়েছে দলটির সামনে।
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে ১৬টি দেশ অংশ নেবে। এর মধ্যে বাছাইপর্বের ১২টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। প্রতিটি গ্রুপের রানার্সআপদের সঙ্গে প্লে-অফে যোগ দেবে সে চারটি দল, যারা নেশন্স লিগে নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তবে বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারেনি।
নেশন্স লিগের ১৪টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে বর্তমানে শুধু মলদোভা ও সান মারিনোই এমন দুই দেশ যারা এখনো প্লে-অফের দৌড়ে নেই, তবে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
সান মারিনোর প্লে-অফে জায়গা করে নিতে হলে ওয়েলস, রোমানিয়া, সুইডেন এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মধ্যে অন্তত দুটি দলকে অবশ্যই বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে উঠে যেতে হবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন অন্য কোনো নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়নের অবস্থান দখল না করে।
এমনটি হলে শীর্ষ দুইয়ে উঠতে রোমানিয়াকে সান মারিনোর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেতে হবে। তার আগে তিন দিন আগে রোমানিয়ার মুখোমুখি হবে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, যাদের পেছনে ফেলতে হলে গোল ব্যবধান উন্নত করাও জরুরি হয়ে পড়তে পারে রোমানিয়ার জন্য।
অন্যদিকে সুইডেনের গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ে ওঠার সম্ভাবনা গাণিতিকভাবে ক্ষীণ হলেও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। ফলে ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রোমানিয়ার পারফরম্যান্সই এখন কার্যত নির্ধারণ করবে সান মারিনো আদৌ ২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পারবে কি না।
সূত্র- বিবিসি
মন্তব্য করুন