

ডাবলিনে ছিল সুযোগ—জিতলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত। কিন্তু মাঠের গল্প উল্টো দিকে ঘুরে গেল মাত্র ৪৫ মিনিটেই। ট্রয় প্যারটের জোড়া গোল আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর লাল কার্ড মিলিয়ে পর্তুগাল পেয়ে গেল এক দুঃস্বপ্নের রাত, যা বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তাদের পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিতে পারে।
ম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল পর্তুগালেরই। রোনালদো কয়েকটি সুযোগ নিলেও কাঠখোট্টা আইরিশ রক্ষণ ও গোলকিপার কেলেহারকে ভেদ করতে পারেননি। আয়ারল্যান্ড প্রথম সুযোগেই আঘাত হানে—১৭ মিনিটে কর্নার থেকে স্কেলসের লেফট শফলে কাছাকাছি থেকে গোল করেন প্যারট।
তারপরই বাড়ে চাপ। রবার্তো মার্তিনেজের দল সমতা ফেরানোর চেষ্টা করছিল, অথচ বাড়তি গোলের কাছাকাছি ছিল আয়ারল্যান্ডই। ওগবিনের শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান আরও বাড়ত।
হাফটাইমের একদম আগে দ্বিতীয়বার আঘাত করেন প্যারট। লং বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে ডি-বক্স থেকে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন তিনি—২-০।
বিরতির পর পর্তুগালের বিপর্যয় আরো গভীর হয়। বক্সে হালকা টান অনুভব করে রোনালদো প্রতিপক্ষকে কনুই মারেন। ভিএআর দেখে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান তাকে। মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখান তিনি। সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচকেও বিপদে ফেলতে পারে।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বল দখলে রেখে আক্রমণ চালালেও আইরিশ ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি পর্তুগাল। কেলেহারের সামনে তৈরি হওয়া সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়।
১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে থাকলেও এখন শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জেতাই পর্তুগালের সামনে একমাত্র পথ। আয়ারল্যান্ড (৭) ও হাঙ্গেরি (৮) তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে—আর ডাবলিনের রাতটি হয়ে রইল লুসোদের জন্য বড় সতর্কবার্তা।
মন্তব্য করুন