দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাঁচজন ফুটবলারকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে বসুন্ধরা কিংস। এবার একই কারণে জাতীয় দলের দরজাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই পাঁচ ফুটবলারের। আগামী ১২ ও ১৭ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দুটি থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছেন জিকো-মোরসালিনরা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে তেমন ইঙ্গিত মিললেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বাফুফে। নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদমাধ্যমকে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আসলে ওই ফুটবলারদের জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা কঠিন। শৃঙ্খলাজনিত শাস্তি সবার জন্যই হওয়া উচিত বলে মনে করি। তবে সম্ভবত তাদের জাতীয় দলে নেবেন না কোচ।’
বাফুফে সভাপতি আরও বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংস ৩-৪ দিন আগেই আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, শৃঙ্খলাজনিত কারণে ৪-৫ জন ফুটবলারকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে তারা। এমনকি ক্লাবের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে পাঁচ খেলোয়াড়। ক্লাব শৃঙ্খলাজনিত কারণে ব্যবস্থা নেওয়ায় বিষয়টা আমরা তদন্ত করতে দিয়েছি।’
বাফুফের আরেক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ দলে নিতে চান না বলে নিজেই বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কাবরেরা বাফুফে সভাপতিকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের স্কোয়াডে বিবেচনা করা যাবে না।
নিষিদ্ধ হওয়া পাঁচ ফুটবলার হলেন- সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ, গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন, স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ ও ফুলব্যাক রিমন হোসেন। উল্লিখিতদের সঙ্গে দলের একাধিক স্টাফও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর এএফসি কাপে মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে যায় বসুন্ধরা কিংস। পরদিন দেশে ফেরার সময় নিষিদ্ধ ৫ ফুটবলারের ব্যাগ থেকে ৬৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করেন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন