নেইমার আর চোট, যেন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। ক্যারিয়ারজুড়ে বারবার পড়েছেন চোটে। যখনই ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ কিছু করার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তখন ইনজুরিতে পড়ে এলোমেলো করে দিয়েছেন সব। অনেক ফুটবল বিশ্লেষকদের ধারণা ইনজুরির কারণে ঠিকমতো বিকশিত হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকার প্রতিভা।
সেই ইনজুরিতে নেইমার এখন মাঠের বাইরে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হয় লাতিন আমেকিরার ফুটবলের শ্রেষ্ঠতর আসর কোপা আমেরিকার ড্র। আগামী বছর জুনে শুরু হবে এটি টুর্নামেন্টে। এর আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে মাঠে নাও ফেরা হতে পারে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার।
কোপা আমেরিকায় গ্রুপ-ডি’তে কলম্বিায়া ও প্যারাগুয়েকে পেয়েছে ব্রাজিল। লাতিন এই তিন দলের সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা ও হন্ডুরাসের মধ্যে যে কোনো এক দল। চোটের কারণে কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই শঙ্কা কাটিয়ে ফেরেন মাঠে।
বিশ্বকাপের পর পিএসজির হয়ে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। এরপর গত ১৭ অক্টোবর ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার পায়ে চোট পান তিনি।
চোট ঠিক করাতে ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অপারেশন করান আল হিলাল তারকা। এরপর থেকে আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। এই ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাস সময় লাগে। অনেক সময় অ্যাথলেটরা আরেকটু আগেই সেরে উঠতে পারেন।
তবে চোটপ্রবণ নেইমারের কতটা সময় লাগবে তা অজানা। আর এবারের চোট আগের চোটগুলোর চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর। যে কারণে আগামী বছরের জুনে শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার আগে তার সেরে ওঠা নিয়ে বেশ শঙ্কা রয়েছে। যদিও নেইমার ভক্তদের আশা, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেরে উঠবে তাদের প্রিয় তারকা।
তবে চোট সেরে ফিরলেও ব্রাজিল তারকাকে চেনা ছন্দে পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম, এ ট্রেড-বলছে নেইমারের এই চোট মাঠে তার গতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এমন চোট তাকে ঠেলে দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ও যন্ত্রণার দিকেও।
জানা গেছে, মাঠে ফেরার প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে নেইমারকে। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা, শারীরিক শক্তি অর্জন করা এবং মাঠে কার্যকর গতি ফিরে পাওয়া যার মধ্যে অন্যতম। এতগুলো ধাপ পেরিয়ে কোপা আমেরিকায় ফেরাটা, অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম, ডেইলি মেইল বলছে, শেষ মুহূর্তে নেইমার ব্রাজিলীয় দলে ফিরলেও, গ্রুপপর্বে না খেলা হতে পারে তার। তবে গ্রুপপর্বের বাধা পেরিয়ে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে গেলে, হয়তো মাঠে দেখা যেতে পারে নেইমারকে। তবে তাড়াহুড়ো করে ফিরেও তিনি কি মানিয়ে নিতে পারবেন? এ ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে ফিরে আরও বড় চোটে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মন্তব্য করুন